সুপ্রভাত বিনোদন ডেস্ক »
২০১৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল ওয়াজেদ আলী সুমন পরিচালিত যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘রক্ত’। যেখানে কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন পরীমণি। অভিনয় করেছেন ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় খল অভিনেতা বিপ্লব চ্যাটার্জি।
মুক্তির পাঁচ বছর পেরুলেও কোনও এক কারণে এই চিত্রনায়িকার প্রতি নাখোশ বিপ্লব।
বর্তমানে এপার বাংলায় পরী গ্রেফতারের ঘটনা সাড়া ফেলেছে ওপার বাংলাতেও। আর সে কারণে এই চিত্রনায়িকাকে নিয়ে মুখ খুলেছেন বিপ্লব। তবে এক সময়ের সহকর্মীর প্রতি কোনও সহমর্মিতা দেখাননি এ অভিনেতা। অনেকটা একতরফা দোষারোপ করে গেছেন তিনি।
কলকাতার সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারে দেওয়া মন্তব্যে পরীকে রীতিমতো একহাত নিয়েছেন বিপ্লব। তুলনায় টেনেছেন কিংবদন্তি শাবানাকেও।
বলেন, ‘শাবানা আক্ষরিক অর্থেই ভদ্রমহিলা। ওর স্বামীর সঙ্গেও আলাপ আছে। তারকা দম্পতির কোনও তুলনা হয় না। কিন্তু পরীমণিকে শুধু মহিলার বাইরে অন্য কিছু বলতে রাজি নই।’
এই মুহূর্তে পরীমণি দুই বাংলার সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে। তাকে নিয়ে রটনা কতটা সত্যি? কতটাই বা গুঞ্জন? জানতে চাইলে প্রবীণ অভিনেতা বলেন, ‘ওর মতো মহিলার সঙ্গে পর্দা ভাগ করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না! নাচের একটি দৃশ্যে এক ফ্রেমে ছিলাম। এই পর্যন্ত!’
মাত্র একটি ছবিতে কেবল নাচের দৃশ্যে অভিনয় করে কীভাবে বিপ্লব বুঝেছিলেন পরীমণি ‘ভদ্র’ নন?
অভিনেতার দাবি, তিনি পরীমণি সম্বন্ধে অনেক কথা শুনেছেন। যা তার ভালো লাগেনি। বিপ্লবের ভাষ্য, ‘সব রটনাই মিথ্যা নয়। কিছু না থাকলে একজনের নামে এত বদনাম শোনা যায় না!’
তবে পাল্টা প্রশ্নও করা হয় এই অভিনেতাকে। সেখানে ঠিকই এক ঝটকায় নিজের পজিশনও পরিবর্তন করে নেন। জানতে চাওয়া হয়, আগামী দিনে পরীমণি যদি সব অভিযোগ থেকে মুক্তি পান তাহলে তার সঙ্গে অভিনয় করবেন? বিপ্লবের সাফ জবাব, ‘অভিনয় আমার পেশা। সেখানে আমি চূড়ান্ত পেশাদার। কাউকে নিয়ে কোনও ছুঁৎমার্গ নেই আমার।’
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট পরীমণিকে নিজ বাসা থেকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর তার বিরুদ্ধে মোট ৫টি মামলা করা হয়, যা তদন্তাধীন। বর্তমানে তিনি দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে আছেন।