পবিত্র শবে বরাত আজ। সর্বাধিক ফজিলতপূর্ণ রজনীগুলোর মধ্যে একটি হলো শবে বরাত। সুরভিত পুণ্যময় রাত- শবেবরাত। এই বরাত মানে মুক্তি। আল্লাহতালার তরফ থেকে অকাতর দয়া ও অপার কৃপা বিতরণের রজনী। বদ্ধ হৃদয় ও চেতনার অর্গল খুলে ছড়িয়ে পড়ার এই রাত সুবিশাল রহমতের ভান্ডার। পবিত্র কোরানে উল্লেখ আছে এমন একটি রাতের কথা, যে-রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়ের ফয়সালা স্থির হয়। তাই একটি শবেবরাতের রাতের পর আরেকটি শবেবরাতের রাতের জন্যে মুমিনের থাকে উদ্বেল আগ্রহভরা প্রতীক্ষা।
প্রত্যেক মুসলমান নরনারী এই পুণ্যময় রাতে নত হন সেই অভ্রান্ত, একক আল্লাহর দরবারে। ক্রন্দনে আর সকাতর প্রার্থনায়, সৌরভ ও আলোর ঝরনায়, নিবিড় নিস্তব্ধতা ও সৌম্য একাকীত্বের মধ্য দিয়ে বিশ্বাসী মানুষেরা বিনিদ্র রাত কাটাবেন আজ।
শবে বরাত মুসলমানদের কাছে পবিত্র রমজানের আগমনী বার্তা বয়ে আনে। এর মধ্য দিয়েই শুরু হয় রমজান মাসের সিয়াম সাধনার প্রস্তুতি। মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে এটি ভাগ্য নির্ধারণের রাতও। এ রাতে আল্লাহ পরবর্তী বছরের জন্য মানবজাতির রিজিক ও সবার ভাগ্য নির্ধারণ করেন এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানের গুনাহ মাফ করে দেন। এ রাতে মুসলমানরা আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করবেন। যাঁরা রিজিক অনুসন্ধানকারী, তাঁরা প্রার্থনা করবেন রিজিকের জন্য। বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করবেন বিপদগ্রস্ত মানুষ। ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই রাতে নফল ইবাদত-বন্দেগিতে নিমগ্ন থাকতে মুসলমানদের নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। এই রাতে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের জন্য উন্মুক্ত করে দেন রহমত ও দয়ার ভান্ডার। তাই মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে এটি উৎসবের রাতও।
সর্বশক্তিমান আল্লাহর করুণা আমাদের সবার ওপর বর্ষিত হোক, এটাই হোক এই পবিত্র রাতের প্রার্থনা। এই রাতের কল্যাণে আগামী দিনগুলো সুন্দর ও মঙ্গলময় হয়ে উঠুক—এটাই আমাদের কামনা।
পবিত্র শবে বরাত
সুন্দর ও মঙ্গলময় হয়ে উঠুক আগামী