বিজয় দিবসের সমাবেশে আ জ ম নাছির উদ্দীন
‘নৌকা গণতন্ত্রের প্রতীক, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। এই নৌকা বাঙালিকে স্বাধীন জাতিসত্তা উপহার দিয়েছে। নৌকা প্রতীক নিয়ে ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকের বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে।’
গতকাল বুধবার বিকেলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বর্তমান সরকারের দুই বছর পূর্তি ও গণতন্ত্রের বিজয় দিবস পালনোলক্ষে নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মার্কেট চত্বরে অনুষ্ঠিত বিশাল সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী এ কথা বলেন।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, গণতন্ত্র মানে হত্যা নয়, জ্বালাও পোড়াও নয়, শিশু ও নারী হত্যা নয়। পেট্রোল বোমা মেরে আগুনে পুড়িয়ে মানুষকে ছাই ভস্ম করা নয়। সেদিন যারা এই অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে জাতি তাদের ভোটের মাধ্যমে ঘৃণ্যভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। গণতন্ত্র মানে জনকল্যাণ এবং মানুষের সকল মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে এক যুগ ক্ষমতায় আসীন। এ সময়ে অনেক উন্নয়নের মাঝেও বড় অর্জন পদ্মা সেতু নির্মাণ। এই পদ্মা সেতু নিজের অর্থায়নে কারো দান, অনুদানকে পরোয়া না করে এভাবেই বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজ যারা গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করছেন তাদের আমলে এ দেশ একটি জঙ্গিবাদ ও মানবতাবিরোধী এবং ৭১’র পরাজিত শক্তিদের ভুল ঠিকানা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল। এ চিহ্ন মুছে ফেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জনগণের রায় নিয়ে জাতিকে মুক্তির ঠিকানা দিয়েছেন। একই সাথে তিনি ভাত ও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছেন। সেই অর্জন কেউ মুছে ফেলতে পারবে না।
তিনি আরো বলেন, পদ্মাসেতু বাস্তবায়নের মাধ্যমে শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন দান অনুদান নয়, আমাদের বিন্দু বিন্দু শ্রম ও অর্জনের একটি স্বপ্ন পূরণ।
নগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা শফর আলী, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক জালাল উদ্দিন ইকবাল, উপ প্রচার সম্পাদক শহিদুল আলম, নির্বাহী সদস্য মোরশেদ আকতার চৌধুরী, থানা আওয়ামী লীগের হাজী ছিদ্দিক আলম, মো. মঈনউদ্দিন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মো. গিয়াস উদ্দিন, আমিনুল হক রনজু।
সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, উপদেষ্টা শেখ মাহমুদ ইছহাক, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হাজী মো. হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক দেবাশীষ গুহ বুলবুল, যুব ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, শ্রম সম্পাদক আবদুল আহাদ, কার্যনির্বাহী সদস্য আবুল মনসুর, গাজী শফিউল আজিম, সৈয়দ আমিনুল হক, জাফর আলম চৌধুরী, বখতিয়ার উদ্দিন খান, হাজী বেলাল আহমেদ, থানা আওয়ামী লীগের হাজী এম এ হালিম, আনছারুল হক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের হাজী নুরুল আমিন, ইকবাল হাসান, আবছার উদ্দিন চৌধুরী, সৈয়দ মো. জাকারিয়া, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, মো. জানে আলম, আবদুল মান্নান, মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট আইয়ুব খান, মো. ইসকান্দ মিয়া, মো. ইয়াকুব, মো. এরশাদ উল্লাহ, মো. শওকত আলী, আবদুল আজিজ মোল্লা, মো. আলী নেওয়াজ, মো. আবুল বশর, সলিমউল্লাহ বাচ্চু, মো. নুরুল আলম, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, মো. জসিম উদ্দিন, লুৎফুল হক খুশি, এস এম আকবর আলী আকাশ, ইফতেখার আলম জাহেদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি