নিজস্ব প্রতিবেদক »
স্বৈরশাসন ও পরিবারতন্ত্র থেকে মুক্ত করার দাবিতে সাধারণ ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের মুখে চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালকরা পদত্যাগের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালকের পদ ছাড়লেন আরও ১০ জন। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) চেম্বার কার্যালয়ে গিয়ে তারা পদত্যাগপত্র জমা দেন।
তাদের মধ্যে আছেন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলমের মেয়ে রাইসা মাহবুবও। পদত্যাগ করা বাকি নয় পরিচালক হলেন—অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, মাহফুজুল হক শাহ, আলমগীর পারভেজ, ইফতেখার হোসেন, আবু সুফিয়ান চৌধুরী, মো. আখতার পারভেজ, রেজাউল করিম আজাদ, মো. মনির উদ্দিন, মো. আদনানুল ইসলাম। এর আগে সিনিয়র সহসভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন এবং পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর পদত্যাগ করেছেন।
সবার পদত্যাগ নিশ্চিত হওয়ার পর চেম্বার প্রেসিডেন্ট পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। চেম্বারের পরিচালকেরা পদত্যাগ করার পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় (বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগ) থেকে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হবে।
এর আগে গত ১৮ আগস্ট সকাল ১০টায় আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের চেম্বার কার্যালয়ের সামনে বৈষম্যের শিকার ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এতে বক্তব্য দেন বিজিএমইএ’র সহ সভাপতি রাকিবুল আলম, চেম্বারের জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, বারভিডার সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, চেম্বারের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি এসএম নুরুল হক, আবদুল মান্নান রানা, মাহবুব রানা প্রমুখ।
চেম্বারকে সংস্কারের দাবি জানিয়ে তারা বলেছিলেন, বর্তমান চেম্বার পরিচালনা পর্ষদকে পদত্যাগ করতে হবে। মেম্বারশিপ সহজীকরণ করতে হবে। যারা চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী আছেন তারা সদস্য হবেন, নেতৃত্ব নির্বাচিত করবেন। পরিবারতন্ত্রের কবলে পড়ে চট্টগ্রাম চেম্বার দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারেনি।