সুপ্রভাত ডেস্ক »
নিত্যপণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থাকে সহজ ও উন্নত করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
তিনি বলেছেন, ‘আলুর মূল্যস্ফীতি সহনশীল পর্যায়ে আনতে ন্যায্যমূল্যে টিসিবির মাধ্যমে আলু বিক্রি শুরু করেছি। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যস্ফীতি মূলত সরবরাহকেন্দ্রিক।
‘সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য আমরা কাজ করছি। যারা পণ্য আমদানি এবং উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন, তাদের পণ্য সরবরাহকে সহজ করার জন্য সবার সঙ্গে বৈঠক করছি।’
বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনের সামনে সাশ্রয়ী মূল্যে আলু বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন পণ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সহযোগিতায় আমদানি শুল্ক তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমিয়ে আনা হয়েছে। টিসিবির ১ কোটি পরিবারের কার্যক্রম আরও বর্ধিত করার জন্য কাজ করা হচ্ছে।’ খবর বিডিনিউজ।
নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘এ বিষয়ে কাজ করছে কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রধান উপদেষ্টাসহ সব উপদেষ্টারা এ ব্যাপারে সংবেদনশীল।
‘কিছু কিছু পণ্যে স্বস্তি আসতে শুরু করেছে। চিনি, ডিম, আলুতেও আসবে। এছাড়া তেল নিয়ে ব্যাপকভাবে কাজ শুরু করেছি।’
বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ বৃদ্ধি করতে টিসিবির পাশাপাশি নিত্যপণ্যের ই—কমার্স সাইট চালডাল ডট কমে সরবরাহ বাড়ানোর হচ্ছে বলে অনুষ্ঠানে জানান বাণিজ্য সচিব সেলিম উদ্দিন। ভোক্তাদের জন্য চাল, ডাল ও তেলের সঙ্গে এবার আলুও যুক্ত করা হয়েছে টিসিবিতে। জনপ্রতি ৩ কেজি করে আলু বিক্রি করা হচ্ছে, প্রতি কেজি ধরা হচ্ছে ৪০ টাকা। এ ছাড়া প্রতি লিটার ভোজ্যতেল ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০ টাকা ও প্রতিকেজি চাল ৩০ টাকায় কেনা যাচ্ছে। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ২ লিটার তেল, ২ কেজি মসুর ডাল ও ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন।