নিজস্ব প্রতিনিধি, পটিয়া :
পটিয়ায় বিভিন্ন মার্কেটে ও বাজারে লোকজন ভিড় শুরম্ন করেছেন। সকাল থেকে ইফতারির আগ পর্যন্তপ্রতিটি মার্কেটে ঈদের আগাম বেচাকেনা চলছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নারী-পুরম্নষ কাপড়ছোপড়সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে এই মার্কেট থেকে ওই মার্কেটে ছুটাছুটি করছে। বুধবার সকাল থেকে পটিয়া ছবুর রোড, ক্লাব রোড, স্টেশন রোডে যেন তিল ধারনের জায়গা ছিল না। অথচ এর আগে পটিয়া দোকান মালিক সমিতির এক বৈঠকে ঈদ মার্কেট বন্ধ রাখার ঘোষণা দিলেও কিছু ব্যবসায়ীর কারণে তা কার্যকর করা যাচ্ছে না। গত কয়েকদিনে পটিয়াতে একই পরিবারের ৯জনসহ ১৬জন ব্যক্তি করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছেন।
এর মধ্যে উপজেলার হাইদগাঁও এলাকার ৬ বছরের এক শিশু মারাও গেছেন। পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা জাহান উপমা বর্তমান পরিসি’তিতে মানুষের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রতিদিনেই কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রশাসনের বিধিনিষেধ অমান্য করে দোকানপাট খোলার কারণে পটিয়া
পৌরসদর ও উপজেলার কয়েকটি এলাকা বর্তমানে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বুধবারও উপজেলার কোলাগাঁও, মনসা বাদামতল ও কুসুমপুরা এলাকার ৪টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের তোয়াক্কা না করে পটিয়া সদরের বিভিন্ন মার্কেট ও বাজার খোলা রাখা হয়েছে। ফলে ভাইরাস আরো দ্রম্নত ছড়ানোর আশংকা রয়েছে।
এদিকে, ঈদকে কেন্দ্র করে কিছু দোকান মালিক ঈদ মার্কেট চালু করেছে। বর্তমান পরিসি’তিতে পটিয়াকে লকডাউন করা দরকার।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলা করতে হলে প্রশাসনের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের সচেতন হওয়া দরকার। তারা সচেতন না হলে সাধারণ মানুষের ক্ষতি হবে। পটিয়াতে দিন দিন করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত বাড়ছে।
পটিয়া উপজেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইউছুপ জানিয়েছেন, দোকান মালিক সমিতির সিদ্ধান্তছিল সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত কওে যেন ঈদ মার্কেটের দোকান খোলা রাখা হয়। কিন’ কিছু কিছু দোকানদার মানুষের দূরত্ব নিশ্চিত না করে ও সমিতির সিদ্ধান্তঅমান্য করে দোকান খুলেছেন। তাদের বিরম্নদ্ধে কি ব্যবস’া নিবেন সেটা প্রশাসন সিদ্ধান্তনিবেন।