পটিয়ায় ইউএনওসহ ৫৫ জনের রিপোর্টের হদিস নেই
নিজস্ব প্রতিনিধি, পটিয়া :
পটিয়াতে দিন দিন বাড়ছে করোনা রোগী। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পটিয়া উপজেলাকে রেড জোন ঘোষণা করেছে। পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা জাহান উপমাসহ উপজেলার ৫৫ জনের রির্পোট ১৫ দিনেও কোন হদিস নেই। গত ৮ জুন পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার নমুনা পরীক্ষা দিয়েছেন ইউএনও উপমাসহ ৫৫জন। কিন’ ওই নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টের কোন হদিস মিলছে না। ফলে অনেকে ভাইরাস নিয়ে উপজেলা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট না আসায় জনসাধারনের মধ্যে নতুন করে দেখা দিয়েছে আতংক। সোমবার বিকেল পর্যন্ত ইউএনও’র নমুনার রির্পোট এসে পৌঁছেনি। সর্বশেষ গত ১৭ জুন পটিয়া থেকে ২০জন নমুনা পরীক্ষা দেন। তার মধ্যে ৬ জনের রির্পোট পজেটিভ। চট্টগ্রাম জেলার মধ্যে পটিয়া দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২৫৪জন। সুস্থ হয়েছেন ১৭১জন এবং মারা গেছেন ৫ জন।
হাসপাতাল ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেলার মধ্যে পটিয়া উপজেলাকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা দেওয়ার পর ইউএনও উপমা কিছুদিন কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। রিপোর্ট হাতে না পেলেও তিনি বর্তমানে এলাকায় পুনরায় কাজ শুরু করেছেন। পটিয়া থানা পুলিশ, হাসপাতালের ডাক্তার, ইউএনও’র গাড়ি চালক, ইউএনও’র নৈশপ্রহরী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন সেন্টারে ১৯জন রোগীর চিকিৎসা চলছে। এর মধ্যে ৪জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ করেছেন, হাসপাতাল কর্তৃপড়্গের অবহেলার কারণে করোনা শনাক্ত হওয়া রোগীরা প্রতিনিয়ত হাসপাতাল থেকে বের হয়ে চা-নাসত্মা খেয়ে পুনরায় তারা হাসপাতালে ঢুকছে।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা জাহান উপমা জানিয়েছেন, নমুনা পরীক্ষার ১৫ দিনেও তার রিপোর্ট পাননি। অথচ এর পরে যেসব পরীক্ষা করা হয়েছে তার রিপোর্ট এসেছে। ফলে তিনিসহ ৫৫ জনের রিপোর্টের বিষয়টি চট্টগ্রাম সির্ভিল সার্জনের মাধ্যমে খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে। ফৌজদারহাট বিআইটিআইটি হাসপাতালের ল্যাবে জট থাকায় নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। কি কারণে রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে না তা তিনি জানেন না।