নিজস্ব প্রতিনিধি, পটিয়া »
পটিয়ায় নুরুল আলম (৩৪) নামের এক সিএনজি চালককে ছুরিকাঘাতে খুন করে গাড়ি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার সকালে পটিয়া থানা পুলিশ উপজেলার মনসা-চৌমহনী-বুধপুরা বাজার সড়কের চোরাবিল এলাকা থেকে গাড়ি চালকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে।
খুন হওয়া সিএনজি চালক জিরি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ আলীর পুত্র।
জানা গেছে, ভোলা জেলার মোহাম্মদ আলী পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন উপজেলার জিরি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস করছেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে সিএনজি চালক নুরুল আলম সবার ছোট। প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার সকালে নুরুল আলম সিএনজি নিয়ে ঘর থেকে বের হন। স্ত্রী মুন্নি আকতারের সঙ্গে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হয় এবং পরবর্তীতে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে শুক্রবার সকালে সড়কের পাশে সিএনজি চালকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেন। আরও জানা গেছে, শুক্রবার সকালে ঘটনার পর আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শতশত লোক ঘটনাস্থলে লাশটি দেখতে ভিড় করে। এসময় পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক রহমানের নির্দেশে পুলিশ উৎসুক জনতার উপর লাঠিচার্জ শুরু করে। ভিডিও ও ছবি ধারণের সময় অনলাইন টিভি পটিয়া প্লাসের সাংবাদিক রাফির মোবাইল ফোন কেড়ে নেন পুলিশ। পরে ফেরত দেন।
কুসুমপুরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শওকত আকবর জানিয়েছেন, চোরাবিল এলাকাটি খুব ভয়ংকর একটি জায়গা। এখানে প্রায় সময় চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ ঘটে থাকে। বিষয়টি পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীকে অবহিত করা হয়েছে। মূলত চোরাবিল এলাকাটি বড়লিয়া ও কুসুমপুরা ইউনিয়ন সীমান্তে হওয়ার কারণে প্রতি রাতেই অপরাধ হচ্ছে।
পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানিয়েছেন, সিএনজি চালককে খুন করে গাড়ি ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর খুনের ঘটনা ঘটেছে।