নিজস্ব প্রতিনিধি, পটিয়া »
পটিয়া উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের কুরাংগিরি এলাকার এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শ^শুর বাড়ির লোকজন গৃহবধূকে সাপে কেটেছে বলে প্রচার করলেও তার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গৃহবধূর পিতা।
রিমু চৌধুরী (২০) উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের সৌদি প্রবাসী শ্রীরাম চৌধুরীর স্ত্রী। গত রোববার রাতে তাকে সাপে কেটেছে বলে শ্বশুর বাড়ির পক্ষ থেকে প্রচার করা হয়। পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এ মৃত্যু সন্দেহজনক ও অস্বাভাবিক বলে উল্লেখ করেন।
জানা গেছে, আনোয়ারা উপজেলার লিটন দেবের কন্যার সঙ্গে পটিয়া উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের রতন চৌধুরীর পুত্র সৌদি প্রবাসী শ্রীরাম চৌধুরীর ২০২১ সালে বিয়ে হয়। প্রায় সময় যৌতুক নিয়ে শ^শুর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে গৃহবধূর ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিল। যৌতুকের বিষয়টি পিতা লিটন দেবকে জানানো হয়। ২ লাখ টাকা যৌতুক না পেয়ে শ^শুর পরিবারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে গত রোববার রাতে রিমু চৌধুরী হত্যা করা হয় বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। শ^শুর পরিবারের লোকজন গৃহবধূকে সাপে কেটেছে বলে প্রচার করলেও শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
গৃহবধূর পিতা লিটন দেব জানান, ২০২১ সালে তার মেয়ের সঙ্গে প্রবাসী শ্রীরামের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শ^শুর পরিবারের লোকজন যৌতুক দাবি করে আসছিল। তাদের দাবিকৃত যৌতুক দিতে না পারায় পরিকল্পিতভাবে তার মেয়েকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় পটিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করার চেষ্টা করা হলেও পুলিশ তা নেয়নি। তবে একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করেছে।
পটিয়া থানার উপপরিদর্শক দয়াল হরি ভৌমিক জানান, গৃহবধূর মৃত্যুর পর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং পরে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। রির্পোট না আসা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে এটি হত্যা, না সাপে কেটেছে। রিপোর্ট পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।