নিজস্ব প্রতিনিধি,পটিয়া, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি »
পটিয়া উপজেলার বাইবাস করল পয়েন্টে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মো. রুবেল (৩৫) নামের এক তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন নুরুল আনোয়ারের পুত্র। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৮জন। তারা হলেন, পটিয়ার কচুয়ায় ইউনিয়নের মো. ইব্রাহিম (৩৫), ময়মনসিংহ জেলার মোস্তাকিন (২৩), নোয়াখালী জেলার মো. সবুজ (৩৫), টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার ইমন (২০), একই উপজেলার মো. আরিফ (২৪), আবদুর রহিম (২৩), হেদায়েত (১৮), রুবেল (২২)। শুক্রবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ঢাকা ছেড়ে আসা কক্সবাজারমুখী এমআর ট্রাভেলসের চেয়ারকোচ (ঢাকা মেট্রো ব ১৫-৭৯৭৭) পটিয়া বাইবাসে পৌঁছলে চট্টগ্রামমুখী লোকালবাসের (চট্টমেট্রো জ ০৫-০২২২) মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নাইটকোচটি রাস্তার পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা লাগে। দুই গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত ও ৮জন আহত হয়। ঘটনার পর স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
পটিয়া রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক এটিএম তোহা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে পটিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে একজন নিহত ও ৮ জন আহত হয়েছেন।
পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের ওসি ¯েœহাংশু বিকাশ সরকার নিশ্চিত করেছেন।
হাটহাজারী প্রতিনিধি জানায়, হাটহাজারী উপজেলার নন্দীর হাটের ধোপার দিঘির পাড় এলাকায় দ্রুতগামী ট্রাকের ধাক্কায় আকরাম শেখ (৩৭) নামে এক ভ্যানচালকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে ওই এলাকার হাটহাজারী-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ধোপার দিঘির পাড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আকরাম বাগেরহাট জেলার কামদা পাড়ার লেদু শেখের ছেলে বলে জানা গেছে। আকরাম পেশায় ভ্যানচালক। তিনি হাটহাজারী উপজেলার বড়দিঘির পাড় এলাকায় থাকতেন।
গতকাল বিকালে রাউজান হাইওয়ে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ডালিম হোসেন বলেন, ভোরে ধোপার দীঘির পাড় এলাকায় নিজের ভ্যানগাড়ি নিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি দ্রুতগামী ট্রাক এসে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই আকরামের মৃত্যু হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে ফটিকছড়িতে বাইসাইকেল থেকে পাহাড়ের নিচে পড়ে মুহাম্মদ আশফাত নামক (১৫) এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি দুপুর ৩টায় উপজেলার কাঞ্চন নগর ইউপির ৮নম্বর ওয়ার্ডের মানিকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোর ওই গ্রামের হাছি সর্দার পাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা মো. আমান উল্লাহ’র প্রথম পুত্র।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মুহাম্মদ আবছার উদ্দিন বলেন দুর্ঘটনাবশত পাহাড়ের নিচে পড়ে গিয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয় আশফাত। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।