নিজস্ব প্রতিনিধি, পটিয়া »
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (দ.) কে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করায় পটিয়ায় পার্থ বিশ্বাস পিন্টু (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের কুরাংগিরি এলাকার সুমন বিশ্বাসের পুত্র।
সোমবার দুপুর ১টার দিকে নগরীর বন্দর থানাধীন উত্তর মাদারবাড়ি এলাকা তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পিন্টুকে গ্রেফতারের খবর পেয়ে শত শত মুসল্লি ও ছাত্র থানা ঘেরাও করে এবং তার শাস্তির দাবি জানায়। এসময় এক ছাত্রকে আটক করার ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে ছাত্ররা সেনাবাহিনীর গাড়িসহ ২টি গাড়ি ভাঙচুর করে। এতে তুহিন নামে সেনাবাহিনীর একজন সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। অন্য দুইজন পটিয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পার্থ বিশ্বাস পিন্টুর ফেসবুক থেকে মহানবীকে নিয়ে কটূক্তি করা হয়। এ ঘটনায় পটিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. নুরুচ্ছফার পুত্র মো. কামরুল ইসলাম বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। এর সূত্র ধরে পটিয়া থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে পিন্টুকে গ্রেফতার করে।
বিকেলে পিন্টুর শাস্তির দাবিতে ছাত্র ও শতশত মুসল্লি পটিয়া থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর একটি টিম দ্রুত ছুটে যায় এবং আন্দোলনকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করলেও থানার গোল ঘর ভাঙচুর করা হয়। এ সময় সেনাবাহিনী একজনকে আটক করলে উত্তেজনা আরো বেড়ে যায়। পরে সেনাবাহিনীর জিপ ভাঙচুর করে আটক যুবককে ছিনিয়ে নেয় ছাত্ররা।
মামলার বাদি কামরুল ইসলাম জানান, মহানবীকে কটূক্তি কোনভাবে মেনে নেওয়া যায় না। পিন্টুর পরিবারের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে পিন্টুর দাবি তার ফেসবুক হ্যাক করা হয়েছে।
পটিয়া থানার ওসি জায়েদ নুর জানান, মহানবীকে কটূক্তি করার দায়ে পার্থ বিশ্বাস পিন্টু নামের একজনকে নগরী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলাও রেকর্ড করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ডাক্তার পাপিয়া চক্রবর্তী সেনাবাহিনীর সদস্য আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।