নিজস্ব প্রতিবেদক »
প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে চলছে পাড়া-মহল্লায় প্রচারণা। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
একই সাথে সভাস্থলে প্রস্তুত হচ্ছে মঞ্চ ও মানুষের অবস্থান নেওয়ার স্থান। নিরাপত্তা নিয়েও কোনো ধরনের প্রশ্ন রাখছে না পুলিশ প্রশাসন। পুরোকাজ স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স পরিচালনা করলেও সরকারি প্রতিটি দপ্তর ও আওয়ামী সংগঠনগুলো আন্তরিকভাবে করছে সব কাজ। এরমধ্যে মঞ্চ পুরোপুরি নৌকার আদলে নির্মাণ করার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
মঙ্গলবার সকালে পলোগ্রাউন্ড মাঠে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়ের সঙ্গে পরিদর্শন করে তিনি এ তথ্য জানান।
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, জনসভা সফল করতে আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নগরীতে এখন সাজসাজ রব উঠেছে। আশাকরি স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি লোক জমায়েত হবে পলোগ্রাউন্ডের জনসভায়। এ জন্য সব প্রস্তুতি শেষ করেছি। জনসভাস্থলও সাজানো হচ্ছে। নৌকার আদলে স্টেজ নির্মাণ করা হচ্ছে।
নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নগর, উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সবাই মিলে এই আয়োজন করছি। আমাদের যাবতীয় প্রচারের কাজ চলমান। পাশাপাশি পলোগ্রাউন্ড মাঠে মঞ্চ থেকে শুরু করে সব কাজই প্রায় শেষের দিকে। মাইক বসানোর কাজ শেষ। এই সমাবেশে লাখ লাখ মানুষ ও নেতাকর্মীদের সমাগম হবে। তাই নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছি।
উৎসবমুখর পরিবেশে পুরো আয়োজন শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম আসছেন। এটা বেশ আনন্দের। দীর্ঘদিন পর আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশ হচ্ছে পলোগ্রাউন্ডে। এখানে ভাষণ দেবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী। তাই নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও উজ্জীবিত। উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে প্রচার ও জনসভার মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে। উৎসবমুখর পরিবেশে পুরো আয়োজনটা শেষ করব। এটাই মূল লক্ষ্য।