গণসংযোগকালে ডা. শাহাদাত
চসিক নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। জনগণের স্বাস্থ্যকে ঝুঁকিমুক্ত রাখায় আমাদের কাছে মুখ্য কাজ। চট্টগ্রাম এখন করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে, এটি দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। পাশাপাশি চট্টগ্রামে ক্যান্সার রোগীও দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। তাই চট্টগ্রামবাসীর নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত একটি শহরের জন্য আমরা জনগণের দল হিসেবে মানুষের পাশে আছি এবং থাকবো। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রামে একটি আধুনিক বিশেষায়িত করোনা মহামারি হাসপাতাল এবং একটি ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করবো।
তিনি গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চেয়ে গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন।
পাহাড়তলী আমবাগান জনতা ব্যাংকের সামনে থেকে গণসংযোগ শুরু করে ফ্লোরাপাস রোড়, সর্দারনগর, ঝাউতলা বাজার, ঝাউতলা কলোনি, ওয়ালের্স মোড় হয়ে সেগুন বাগান এলাকায় এসে পথসভায় মিলিত হন। এর আগে তিনি ওয়ালের্স মোড়ে ধানেরশীষ প্রতীক ও কাউন্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম দুলালের ঘুড়ি প্রতীক এবং মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ছখিনা বেগমের মোবাইল প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করেন। তিনি এসময় এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে সালাম ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। নেতাকর্মীরা এলাকার সাধারণ জনগণের কাছে বিএনপি প্রার্থীদের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন।
এ সময় ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চসিকের অধীনে নগরীতে যে ৫৬টি স্বাস্থকেন্দ্র এবং ৫টি হাসপাতাল রয়েছে সেগুলোকে উন্নত, সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি ও সংস্কার করার পাশাপাশি প্রতিটা ওয়ার্ডে মা শিশু এবং বয়স্কদের জন্য রোগ নিরাময় কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, শিশুদের জন্য ৬/৭ বেডের এনআইসিও চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। যাতে মা- শিশুরা উন্নত সেবার পাশাপশি বয়স্কদের বাত-ব্যাথাসহ নানান রোগের চিকিৎসা নিজ এলাকায় পেতে পারেন। একই সাথে প্রতি ওয়ার্ডে একটি আইসোলেশন সেন্টার করে সেগুলোতে গ্যাস সিলিন্ডার ও হাইফ্লো অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে পারলে করোনা রোগীদের দুর্ভোগ কমে যাবে। করোনা চলে গেলেও এসব সেন্টারে অন্যান্য মহামারির চিকিৎসা করা যাবে।
এসব সেন্টারে ভালো বেতনের ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে তাদের প্রাইভেট প্রাক্টিসের সুযোগ করে দিতে পারলে ভালো সার্ভিস পাওয়া যাবে। স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের জন্য দক্ষ নার্স তৈরি করা অবশ্যই প্রয়োজন। এ লক্ষে নগরীতে একটি নাসিং ইনস্টিউশন করারও পরিকল্পনা আছে।
পথসভায় মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আসন্ন মেয়র নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য বিভিন্ন সরকারি অফিসে বসে আওয়ামী লীগ নেতারা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এসব প্রসাদ ষড়যন্ত্র করে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা যাবে না। ভোট দেওয়া নাগরিক অধিকার। ভোট আপনার পবিত্র আমানত। ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে আসুন। অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে রায় দিয়ে ডা. শাহাদাত হোসেনকে নির্বাচিত করতে হবে। তিনি সকল বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে ২৭ জানুয়ারি প্রতিটি ভোটারকে তাদের মূল্যবান রায় ধানের শীষ প্রতীকে প্রদানের জন্য আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক এস কে হুদা তোতন, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, মো. কামরুল ইসলাম, ওর্য়াড বিএনপির সভাপতি জাহিদ মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক এস এম আজাদ, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ছখিনা বেগম, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মো. গোফরান, বেলায়েত হোসেন বুলু, তোফাজ্জল হোসেন, আসাদুজ্জামান দিদার, মো. শরীফ উল্লাহ, এন আই চৌধুরী মাসুম, আমান উল্লাহ আমান, নজরুল ইসলাম বাবু, আব্দুল হামিদ পিন্টু, শরীফ হায়দার শিবলু, জিয়াউর রহমান জিয়া, হেলাল হোসেন, শাহজালাল পলাশ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি