নির্বাচনের জন্য দেড় লাখ পুলিশকে ট্রেনিং দেওয়া হবে

সুপ্রভাত ডেস্ক »

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে দ্বিতীয় বারের মতো একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, বৈঠকে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় প্রসাশনের মধ্যে কো-অর্ডিনেশন বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান প্রেস সচিব।

শফিকুল আলম বলেন, সামনে নির্বাচন আসছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রিভিউ করা হয়েছে। কিছুদিন আগেও প্রধান উপদেষ্টা এরকম একটা মিটিং করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে দ্বিতীয় মিটিং হলো। এই মিটিংয়ে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং সিদ্ধান্ত এসেছে।

তিনি বলেন, মিটিংয়ে প্রথমে আলোচনা হয়েছে কো-অর্ডিনেশন নিয়ে। আর্মি, পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন এদের মধ্যে কো-অর্ডিনেশন বাড়ানোর কথা বারবার জোর দিয়ে বলা হয়েছে। কো-অর্ডিনেশন লোকাল লেভেলে এবং ন্যাশনাল লেভেলে খুব দ্রুততার সঙ্গে বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

শফিকুল আলম বলেন, ইলেকশনের আগে পুলিশের প্রস্তুতির কথা বলা হয়েছে। পুলিশের আইজি মহোদয় বলেছেন, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে দেড় লাখ পুলিশের ট্রেনিং হবে নির্বাচন উপলক্ষ্যে। নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচুর মিস ইনফরমেশন অলরেডি সার্কুলেট হয়েছে। সামনে এটা আরও বাড়তে পারে। এটাকে সামনে রেখে ন্যাশনা ইনফরমেশন সেন্টার হবে যেখানে এই মিস-ইনফরমেশনগুলোকে আমরা ডিফাইন করতে পারব। সেটি ক্রিয়েট করার চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। এটা নিয়ে অনেক বিশদ আলোচনা হয়েছে।

ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম বলেন, বৈঠকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে প্রায় ৬০ হাজারের মতো ট্রুপস নির্বাচনী ডিউটিতে থাকবেন। আপনারা জানেন, ৫ আগস্টের পর থেকে তারা মাঠে ডিউটিতে রয়েছেন। তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার আছে। আমরা আশা করছি নির্বাচনের সময় তাদের বলিষ্ঠ ভূমিকা থাকবে। তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য।