মনোনয়ন পর্বেই বড় ধরনের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় আইনে প্রার্থীর সঙ্গে পাঁচজন পর্যন্ত নেতাকর্মী থাকবার অনুমতি রয়েছে। অথচ প্রায় সকল প্রার্থীই গাড়িবহর শত শত মানুষের শোডাউন করেছে। সরকারি প্রটোকলসহ জাতীয় পতাকাবাহী গাড়িতে এসে এক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। প্রার্থিতা নিশ্চিত না হতেই অনেকে পোস্টার লাগিয়েছেন।
আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মনোনয়ন জমা দেয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়ায় চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি ক্যামরা ও ট্রাইপড ভেঙে ফেলা হয়েছে। প্রার্থীর এমন আচরণ, মারধর করা ও হুমকি দেয়া সত্যিই দুঃখজনক।
নির্বাচনী আচরণ বিধিতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় কোনো মিছিল বা শোডাউন না দেওয়া এবং জমাদানকালে প্রার্থীসহ পাঁচ জনের বেশি সমর্থক উপস্থিত না থাকার কথা উল্লেখ রয়েছে।
আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে কি-না সেটা জনগণের কাছে তুলে ধরা সাংবাদিকের কাজ। এই কাজ করতে গিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর আক্রমণ ও রুঢ় ব্যবহার অত্যন্ত নিন্দনীয়।
আচরণবিধি লঙ্ঘন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের ঔদাসীন্য নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ এবং জাতিসংঘ আগে থেকেই দেশের নির্বাচনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। বিধি লঙ্ঘনের এসব ঘটনা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।
নির্বাচন কমিশনকে তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। মৃদু সতর্ক করেই দায় খালাস করলে চলবে না। প্রতিটি আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী। আমরা আশা করবো নির্বাচন কমিশন শক্ত হাতে বিধি-বিধানের কঠোর প্রয়োগ করবেন। আমরা সবাই চাই আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হোক।
এ মুহূর্তের সংবাদ