প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে নগর ছেড়ে ঘরমুখো মানুষ। সড়ক ও রেলপথে নগর ছাড়ছে মানুষ।
ঈদে বিপুল মানুষ নগর ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে যায়। এতে ফাঁকা হয়ে পড়া বাসাবাড়িতে নিরাপত্তার ঘাটতি দেখা দেয়। চুরি যাতে না হয় এবং ছিনতাই যাতে বাড়তে না পারে, সেদিকে পুলিশকে তৎপর থাকতে হবে।
এবার ঈদের ছুটি একটু দীর্ঘই। ছুটি শুরু হয়ে গেছে ১৯ এপ্রিল থেকেই। কারণ, ১৯ এপ্রিল পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে ছুটি ছিলো। ২০ এপ্রিল নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর মানে এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি কমপক্ষে পাঁচ দিন হচ্ছে। তবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৩০ রোজা পূর্ণ হলে ছুটি আরও এক দিন বাড়বে।
ঈদের টানা ছুটিতে চট্টগ্রাম নগরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করার দায়িত্ব চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের। অবশ্য এবারের ঈদে নগরীর আবাসিক এলাকাগুলোর নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। ঈদে এবার আবাসিক এলাকাগুলোতে পাহারায় থাকবেন পুলিশ সদস্যরা। বাসা-বাড়ি ছাড়াও ঈদের ছুটিতে দোকানপাট, অফিস-আদালত, কল-কারখানা ও বিনোদন কেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তায় বন্দর নগরীতে দুই হাজার পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত থাকবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। তবে পুলিশের বিশেষ নজরদারি থাকতে হবে নগরীর ফাঁকা বাসা-বাড়ির দিকেই। অতীতে দেখা গেছে পুলিশ সদস্যরা রাস্তায় টহলে থাকলেও তালা ঝুলানো বাসায় গ্রিল কেটে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে অবাধে পালিয়ে যায় একটি চক্র। ঈদের ছুটিতে নগরী ফাঁকা থাকার কারণে বাসা-বাড়িতে চুরির ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে পুলিশকে।
নগরীতে ৫৫টি সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের ৫শর বেশি শাখা রয়েছে। জুয়েলারি দোকানের সংখ্যা আড়াই হাজারের বেশি। ঈদের ছুটির কারণে ব্যাংক, শিল্পকারখানা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন মার্কেট ও অফিস আদালত বন্ধ থাকায় এ সময় নগরীতে ডাকাতি ও লুটপাটের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে সেই শঙ্কা কাটাতে কাজ করছে সিএমপিসহ অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী। এধরনের ঘটনা এড়াতে সতর্ক থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইতোমধ্যে বাসাবাড়ির নিরাপত্তায় সক্রিয় থাকতে পুলিশ সদস্যদের সিএমপির পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বাড়তি নিরাপত্তায় মাঠে থাকছে ৩৫০ সদস্যের র্যাবের একটি দলসহ সোয়াত ও এপিবিএনের সদস্যরা।
চট্টগ্রামে সর্বাধিক ৭৪টি আবাসিক এলাকা আছে বায়েজিদ বোস্তামি থানা এলাকায়। এছাড়া আকবর শাহ থানায় ২৩টি, খুলশী থানায় ২২টি, পাঁচলাইশে ১৭টি, ডবলমুরিংয়ে ১৫টি, চকবাজারে আটটি, পতেঙ্গা, চান্দগাঁও ও পাহাড়তলীতে সাতটি করে, হালিশহরে পাঁচটি, বাকলিয়া, কর্ণফুলী, ইপিজেড ও সদরঘাট থানায় চারটি, বন্দর থানায় তিনটি ও কোতোয়ালী থানায় একটি আবাসিক এলাকা রয়েছে। এসব আবাসিক এলাকার বিভিন্ন কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করে নির্ধারণ করা হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এছাড়া নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কেপিআই) ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে নজরদারির পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে নগরীতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে হবে। এককথায় চট্টগ্রাম নগরীকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিতে হবে।
এ মুহূর্তের সংবাদ