নিতীশ ও সুন্দরের ব্যাটে স্বস্তি ভারতের

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »

২২১ রানে ছিল না ৭ উইকেট। ফলো অন এড়াতে তখনো ভারতের দরকার ৫৩ রান। কঠিন বিপদের সময় রোহিত শর্মার দলের ত্রাণকর্তা হয়ে এলেন দুই অলরাউন্ডার নিতীশ কুমার রেড্ডি ও ওয়াশিংটন সুন্দর। অষ্টম উইকেটে তাদের ১২৭ রানের জুটিতে ফলো অন এড়ালোই, সঙ্গে স্বস্তিকর একটি জায়গায়ও চলে গেছে ভারত। মেলবোর্ন টেস্টে প্রথম ইনিংসে ১১৬ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেটে ৩৫৮ রান করে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ভারত। অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে এখনো ১১৬ রানে পিছিয়ে সফরকারীরা। উইকেটে আছেন নিতীশ কুমার (১০৫) ও মোহাম্মদ সিরাজ (২)। এদিন বেশ কয়েকবার খেলায় বাধা দেয় বৃষ্টি। আলোক স্বল্পতার কারণে দিনের খেলা আগেভাগেই সমাপ্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। ৫ উইকেটে ১৬৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে ভারত। প্রথম সেশনেই অপরাজিত দুই ব্যাটার রিশাভ পান্ত ও রবীন্দ্র জাদেজা উইকেট বিলিয়ে দেন। ৬ রান নিয়ে খেলা শুরু করা পান্ত থামেন ২৮ রানে (৩৭ বলে)। স্কট বোলান্ডের বলে নাথান লিয়নের হাতে ক্যাচ হন তিনি। ৫১ বলে ১৭ রান করে লিয়নের এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন জাদেজা। ২২১ রানে ৭ উইকেটের পতন হওয়ার পরই নিতীশ কুমার ও সুন্দরের সেই অবিশ্বাস্য জুটি। ১৬২ বলে ফিফটি (৫০) করে আউট হন সুন্দর। ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাঁকানোর পথে মাত্র ১টি চার মারেন তিনি। এতেই বোঝা যায়, কতটা রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেছেন সুন্দর। জুটি ভাঙলেও দলকে টানতে থাকেন নিতীশ কুমার। বহুদিনের লালিত স্বপ্নও পূরণ করেন তিনি। ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট খেলতে নেমে প্রথম সেঞ্চুরি পান। ৮০ হাজার দর্শকের সামনে ইতিহাস গড়ার পথে ১০টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি। অভিষেক সেঞ্চুরি উদযাপনের মধুর মুহূর্তের সময় মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের গ্যালারিতে আগেবআপ্লুত হতে দেখা গেছে নিতীশের বাবা মুত্যলা রেড্ডিকে। ৮ নম্বরে নামা রেড্ডি ও ৯ নম্বরে নামা সুন্দর-দুজন’ই দেড়শর বেশি বল খেলেছেন মেলবোর্নে। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৭ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটলো।
দিনের খেলা হওয়ার ২ ওভার আগে আউট হন জাসপ্রিত বুমরাহ। ৩ বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। সংক্ষিপ্ত স্কোর: অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ৪৭৪ রান (স্মিথ ১৪০, লাবুশেন ৭২, কনস্টাস ৬০, খাজা ৫৭, কামিন্স ৪৯, ক্যারি ৩১; বুমরা ৪/৯৯, জাদেজা ৩/৭৮, আকাশ ২/৯৪), ভারত প্রথম ইনিংস: ১১৬ ওভারে ৩৫৮/৯ (নিতীশ কুমার ১০৫, জয়সোয়াল ৮২, ওয়াশিংটন ৫০, কোহলি ৩৬, পান্ত ২৮, রাহুল ২৪; বোল্যান্ড ৩/৫৭, কামিন্স ৩/৮৬, লিয়ন ২/৮৮)।