সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
প্রকাশ্যে ক্রিকেটারদের সমালোচনা তিনি করেননি কখনও। আজও করতে চান না। বলেছেন, আমি মিডিয়ায় ক্রিকেটারদের সমালোচনা করতে চাই না। তবে কথায় ফুটে উঠেছে, ক্রিকেটারদের কিছু কিছু কাজে অসন্তুষ্ট বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো।
সোমবার চতুর্থ দিন মাথায় ব্যথা পাওয়া ইয়াসির আলি রাব্বির বদলে কনকাশন সাব হিসেবে খেলতে নামা নুরুল হাসান সোহানের ওপর বেজায় চটেছেন টাইগারদের কোচ। দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো শট খেলে আউট হয়ে দলকে বিপদে ফেলায় সোহানের ওপর রাগ ঝেড়েছেন ডোমিঙ্গো।
অফস্পিনার সাজিদ খানের বলে লং অনের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে উইকেট দিয়ে আসেন সোহান। তখন দলের লিড মাত্র ১৯৭ রাঙের। সোহানের সঙ্গে অপরপ্রান্তে ছিলেন ইনিংসের টপ স্কোরার লিটন দাস। তারা দুজনই ছিলেন শেষ স্বীকৃত জুটি।
কিন্তু সেটি মাথায় না রেখে উইকেট দিয়ে আসেন সোহান। যার ফলে ৪ রানে শেষ ৪ উইকেট খোয়া গেছে, সেখানে ৪০ রান এলেও পাকিস্তানের সামনে টার্গেট দাঁড়াতো আড়াইশর কাছাকাছি। এছাড়া তারা আজ ব্যাটিংয়ের সময়ও পেতো কম।
তখন অনিবার্য্যভাবে একটু হলেও চাপ বেশি থাকতো বারর আজমের দলের। কিন্তু মিরাজ আউট হওয়ার পর সোহান অযথা ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সে সম্ভাবনার ইতি টেনেছেন। দিন শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে কোচ সে কথাটিই বলেছেন।
তার ভাষ্য, ‘আমার মনে হয় আমরা মোমেন্টাম পেয়ে গিয়েছিলাম। তখন আমরা পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়েও ছিলাম। আমাদের দুজন ব্যাটসম্যান ভালই খেলছিল। ঐ সময় আর ৪০-৫০ রান যোগ হলেই পাকিস্তানকে চাপে ফেলা যেত। কারণ তখন তারা শেষ বিকেলে এক ঘন্টার বেশি ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেতো না।’
সোহানের সমালোচনা করে ডোমিঙ্গো বলেন, ‘আপনি যদি সোহানকে জিজ্ঞেস করেন আপনি কি আবারও ঐ শট খেলবেন। সে নিশ্চয়ই বলবে, না! আমি আর অমন শট খেলবো না। সোহান নিজে ঐ শট খেলে আউট হয়েছে, দলকেও ডুবিয়েছে। এতে কোন সন্দেহ নেই।’



















































