সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়ে আছেন আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। কাছাকাছি সময়ে মডেল পিয়াসা ও নায়িকা একাকে একই অভিযোগে আটক করা হয়। বিষয়টির প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুখ খুলেছিলেন একসময়ের আলোচিত মডেল ও অভিনেত্রী শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি। যা নিয়ে সোশ্যাল হ্যান্ডেলে নানা সমালোচনাও শুরু হয়। অপরদিকে একা-পরীমণির পর অনেক মডেলের নাম প্রশাসনের হাতে। একসময়ে মাদকে আসক্ত তিন্নির নামও অনেকে জড়ানোর চেষ্টা করেছেন সোশ্যাল হ্যান্ডেলে। তবে কোনও প্রকার গুজবে অকারণে তাকে না জড়ানোর অনুরোধ করেছেন তিন্নি।
এক ফেসবুক বার্তায় কানাডা প্রবাসী এই অভিনেত্রী লেখেন, ‘২০১০ সাল থেকে একই কাসুন্দি। কী হইলো, কেমনে হইলো- এসব চলছে, হায়রে মানসিকতা! সময়ের সঙ্গে মানুষের উন্নতি হয় আর আমাদের ওই একই ঘ্যান ঘ্যানানি! আর ভালো লাগে না।’ নিজের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তখনকার আমি আর এখনকার আমির মধ্যে পার্থক্য হলো- আমি সুন্দর দুটি কন্যাসন্তানের মা। তখন ২১-২২ বছর বয়সী তিন্নি মডেল-অভিনেত্রী ছিল আর এখন ৩৭ বছর বয়সী নারী ও একজন মা। আমি আর অভিনয় করছি না। সুতরাং একজন মাকে এসব চুলকানি থেকে বাদ দেওয়া যায় না? আমরা সবাই তো কারও সন্তান, আমারও তো মা-বাবা আছে। নাকি? আমাদের নিয়ে অন্য মানুষ খারাপ বললে, আমাদের সন্তান, মা-বাবাও কষ্ট পান। এটাই কি স্বাভাবিক নয়?’
তিনি আরও বলেন, ‘শুনেছিলাম, মানুষের হায় (অভিশাপ) লাগলে মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে যায়। আমার কথা বলছি না, আমাদের বাবা-মা, সন্তানদের কষ্টের হায় লাগার কথা বলছি, আমরা কি পারি না, ভালো-ভদ্রভাবে সবকিছু উপস্থাপন করতে? দয়া করে নিজে বাঁচুন অন্যকেও বাঁচতে দিন! আসুন সবাই আবার মানুষের মতো কাজ করি। জীবনে ভণ্ডামি করি নাই, করলে হয়তো অনেক ভালো লাইফ হতে পারতো। যাই হোক, সবাই আমার ও আমার সন্তানদের জন্য দোয়া করবেন। যেন দিন শেষে সন্তানদের মানুষের মতো মানুষ করতে পারি।’
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে মডেলিং দিয়ে শোবিজে পা রাখেন তিন্নি। ২০০৪ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ধারাবাহিক ‘৬৯’ নাটকের সুবাদে অভিনয়ে তার শুরু। এরপর দর্শকদের তিনি উপহার দিয়েছেন অসংখ্য নাটক। অভিনয় করেছেন ‘ডুবসাঁতার’, ‘মেড ইন বাংলাদেশ’, ‘সে আমার মন কেড়েছে’ সিনেমাতেও। ২০১৭ সালে তিন্নি ‘কুয়াশার ভিতরে একটি মৃত্যু’ শিরোনামে নাটকে অভিনয় করেন। এই নাটকে তিন্নি অভিনয় করেন সজলের বিপরীতে। এরপর তাকে আর অভিনয়ে নিয়মিত পাওয়া যায়নি।