সুপ্রভাত ডেস্ক :
অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের অকাল প্রয়াণ মানতে পারেননি কেউ। তার মৃত্যু সংবাদে মূহ্যমান হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশ। জানা যায়, ডিপ্রেশনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন সুশান্ত। তাই নিজেকে শেষ করে দেন তিনি। কিন্তু বলিউডে এমন ডিপ্রেশনের খবর নতুন নয়। পারভিন ববি থেকে শুরু করে রুপোলি পর্দার অনেক তারকাই ডিপ্রেশনের শিকার হয়েছে। কেউ তা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন, কেউ পারেননি। সুশান্তে গ্রাস করে ডিপ্রেশন। আর দীপিকা পাড়–কোন, শমিতা শেট্টির মতো কয়েকজন মনের এই সমস্যাকে জয় করেছিলেন।
দীপিকা বহুদিন আগেই জানিয়েছিলেন তার ডিপ্রেশনের সঙ্গে লড়াইয়ের কথা। বলেছিলেন, মাকে পাশে পেয়েছিলেন বলেই সেই যাত্রায় উতরে যেতে সক্ষম হন তিনি। এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন শিল্পা শেট্টির বোন শমিতা শেট্টিও। ৪১ বছর বয়সী শমিতা শেট্টির কেরিয়ার শুরু হয়েছিল ‘মহাব্বতে’ দিয়ে। কিন্তু দিদি শিল্পার মতো তিনি বলিউডে সাফল্যে পাননি। অল্প ছবি করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল তাকে। সুশান্ত সিংয়ের মৃত্যুর পর তিনি জানালেন তার গল্প। সুশান্তের মৃত্যুতে শোক জানাতে গিয়েই অভিনেত্রী নিজের কথাও বলেন। ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে লেখেন, ‘ডিপ্রেশন আমাদের মধ্যে যে কোনও মানুষের হতে পারে। আপনাকে এই হতাশা ভিতর থেকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে। আপনার আত্মার প্রতিটি অংশ খেয়ে নেয় হতাশা। সবকিছুই আঘাত দেয়। এই অন্ধকার, ভয়ানক বিশ্বে আপনি নিজেই আপনার শত্রুতে পরিণত হন।’
এখানেই নিজের পোস্ট শেষ করেননি শমিতা। তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি জানি যে আমি যে কষ্টটাই না ভোগ করেছি। একে চিনতে ও গ্রহণ করতে, সাহস জোগাতে আমার কিছুটা সময় লেগেছিল। এর চোখে চোখ রেখে ‘তোমার চেয়ে আমি শক্তিশালী, আমি তোমাকে হারব’ বলতেও সময় নিয়েছিলাম আমি।’ এই ধরনের সমস্যার সঙ্গে যে একা লড়াই করা যায় না, নিজের পোস্টে সে কথা বলেছেন শমিতা। তিনি জানান, একা চেষ্টা করে এ লড়াই জেতা যায় না। আজ আপনি যে পরিস্থিতির শিকার, সেই পরিস্থিতি পেরিয়ে এসেছেন, সমাজে এমন অনেকে লোক আছেন। তারা আপনাকে উপকার করতে পারেন। প্রয়োজন পড়লে ডিপ্রেশন কাটাতে মনোবিদদের সাহায্য নেওয়ার কথাও বলেছেন শমিতা।
খবর : সংবাদপ্রতিদিন’র।
বিনোদন