নিজস্ব প্রতিবেদক »
নগরীর চান্দগাঁও এলাকার মধ্যম মোহরা থেকে আড়াই বছরের শিশু মাহিমকে অপহরণের দায়ে নারীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
গত শুক্রবার সকালে এক অভিযানে দুই পাচারকারীকে আটকের পর তাদের স্বীকারোক্তি মতে অন্য দুজন গ্রেফতার ও অপহৃত মাহিমকে উদ্ধার করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপির জনসংযোগ কর্মকর্তা স্পিনা রাণী প্রামাণিক ও চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. নূর ইসলাম প্রকাশ মুরাদ (২৪), মো. জুয়েল (১৯), মো. রাসেল (৩৭) ও রিমা আক্তার (৩০)। বাকি একজন পলাতক রয়েছেন। পলাতক মো. হাশেম (২৯)কে গ্রেফতারের অভিযান চলছে বলে জানান পুলিশ।
সিএমপি সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ এপ্রিল দুপুর আনুমানিক ১টার সময় চান্দগাঁও থানাধীন মধ্যম মোহরার এএলখান স্কুলের পেছনে এসএস ভবন এলাকার সামনে থেকে আড়াই বছরের শিশু মাহিম অপহরণ হয়। তাকে একটি সিএনজি চালিত টেক্সি করে দুই থেকে তিনজন অজ্ঞাত ব্যক্তি অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় শিশু মাহিমের মা পারুল বেগম (৩৪) বাদি হয়ে চান্দগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
এরপর চান্দগাঁও থানার বিশেষ অভিযানে পাচারকারী ১ নম্বর আসামি মো. নূর ইসলাম ও ২ নম্বর আসামি মো. জুয়েলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাদের স্বীকারোক্তি মতে হাটহাজারীর ছিপাতলী এলাকার লুতি তালুকদার বাড়ি থেকে আসামি মো. রাসেল ও আসামি রিমা আক্তারকে আটক এবং তাদের হেফাজত থেকে শিশু মাহিমকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এছাড়া পাচার কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি অটোরিকশা ও একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার মোটর সাইকেলটি ভিকটিম মাহিমকে বিক্রয় করা অগ্রিম টাকায় কেনা হয়েছে বলে জানান পুলিশ।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, শিশু মাহিম অপহরণের ঘটনার পর তার মা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে এর ভিত্তিতে সিসিটিভি ফুটেজে অপহরণকারীদের শনাক্ত করা হয়। এরপর বিশেষ অভিযানে সিএনজি টেক্সিচালকসহ দুইজনকে আটক করা হলে তাদের স্বীকারোক্তি মতে হাটহাজারীর একটি বাড়ি থেকে শিশু মাহিমকে উদ্ধার করা হয়। মাহিমকে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অপহরণ করে পাচার করা হয়েছে বলে গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার মো. জুয়েলের বিরুদ্ধে পটিয়া ও বায়েজিদ বোস্তামি থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। বর্তমান গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মানব পাচার ও দমন আইনে মামলা দায়েরের পর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।