নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান »
বান্দরবানের তারাছা এলাকায় সাঙ্গু নদীতে নিখোঁজ হওয়া পর্যটক আহনাফ আকিব (২২) ও আদনীন বিনতে জহিরের (১৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে তারাছা এলাকা থেকে আকিবের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এর আগে সকাল ৯টায় বোন আদনীনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া আকিব আদনান ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও তার বোন আদনীন নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের এইচএসসি ১ম বর্ষের ছাত্রী। সে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফতুল্লার ইছদারগ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলামের সন্তান। সন্তানদের নিখোঁজের খবরে ফতুল্লা থেকে গতকাল রাতে বান্দরবান ছুটে আসে মা সাইদা শিউলী ও মামা শামীম রানা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায় শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে নিখোঁজ হওয়া দুই পর্যটক আহনাফ আকিব ও আদনীন বিনতে জহিরকে উদ্ধারে তারাছা এলাকায় নদীতে অভিযান শুরু করে চট্টগ্রাম থেকে আসা ২ জন ডুবুরিসহ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। অভিযান শুরুর আধাঘণ্টা পর ৯টায় ঘটনাস্থল থেকে আদনীন বিনতে জহিরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আরেক পর্যটক আহনাফ আকিবকে উদ্ধারে ডুবুরিদের অভিযান অব্যাহত থাকে। পরে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে তারাছা এলাকায় নদী থেকে আহনাফ আকিবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলে বিকালে গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লায় নিয়ে যাওয়া হয়।
নিহতদের মামা শামীম জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে ১০ জনের একটি দল গত ২২ ডিসেম্বর সকালে বান্দরবান ভ্রমণে আসেন। তারা বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঘুরে দেখেন। শুক্রবার বিকেলে তারা নৌকা নিয়ে রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নের বাদুড় ঝর্ণায় পৌঁছায়। ঝর্ণা দেখার পরে তারা সবাই সাঙ্গু নদীতে গোসল করতে নামে। নদীতে একই পরিবারের মারিয়া তলিয়ে গেলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন আহনাফ ও আদনীন। সাঁতার না জানার কারণে তারাও ডুবে যায়। রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, নদীতে নিখোঁজ ২ পর্যটকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।