সুপ্রভাত স্পোর্টস ডেস্ক »
সিলেট টেস্টে গতকাল ছিল ম্যাচের চতুর্থ দিন। তৃতীয় দিন থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে আসে বাংলাদেশের হাতে। চতুর্থ দিনে এসে সেটি আরো মজবুত করে বাংলাদেশ। ম্যাচের পরিস্থিতি ও উইকেট বিবেচনায় পঞ্চম দিনে নিউজিল্যান্ড অসম্ভব কিছু না করে ফেললে বাংলাদেশের জয় ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার। জয়ের কাব্য গাঁথা হয়েছিল গতকালই। আজ ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকতা।
আজ শেষ দিনের সকালের সেশনে আধা ঘণ্টা যেতেই মিচেলের উইকেট তুলে নেন নাঈম। এর পরেও অবশ্য ২ উইকেট ছিল সফরকারীদের। তবে ম্যাচ বাঁচানোর সাধ্য ছিল না আর। টেস্টে বাংলাদেশের স্মরণীয় জয়গুলোরই একটি হয়ে গেছে এটি। বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত জেতা ১৮টি টেস্টের মধ্যে দেশের বাইরের ৬টিতে জিম্বাবুয়ে ছাড়াও জয় আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
৩৩২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে গতকাল ১১৩ রান তুলতে ৭ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। আজ শেষ দিনে হাতে থাকা ৩ উইকেটে তাদের প্রয়োজন ছিল ২১৯ রান। মিচেল ৪৪ ও ইশ সোধি ৭ রানে দিন শুরু করেন। তবে সুবিধা করতে পারেননি। আগের দিনের সঙ্গে ৬৮ রান যোগ করে বাকি ৩ উইকেট হারায় কিউইরা। এতে গুটিয়ে যায় ১৮১ রানে। ১৫০ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। যা প্রথমবার ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট জয় টাইগারদের।
এমন জয়ে উজ্জ্বল তাইজুল ইসলাম। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেয়া এই বাঁহাতি দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৬ উইকেট। সব মিলিয়ে ১০ উইকেট এই বাঁহাতি স্পিনারের।
২৮ ডিসেম্বর শুরু হওয়া ম্যাচে টস জিতে প্রথম ইনিংসে ৩১০ রান তোলে বাংলাদেশ। কেন উইলিয়ামসনের শতকের পরও সফরকারীদের প্রথম ইনিংস থামে ৩১৭ রানে। ৭ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের শতকে ৩৩৮ রান তোলে। ৩৩২ রানের লক্ষ্য দিয়ে আজ শেষ দিনে ৩ উইকেট প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। প্রথম সেশনেই অপূর্ণ কাজটির সমাপ্তি চিহ্ন টেনে দিয়েছেন বাংলাদেশি বোলাররা।
এই জয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা বাংলাদেশ ১২ পয়েন্ট দিয়ে যাত্রা শুরু করল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : ১ম ইনিংস বাংলাদেশ : ৩১০ । নিউজিল্যান্ড : ৩১৭ ২য় ইনিংস বাংলাদেশ : ৩৩৮। নিউজিল্যান্ড : (লক্ষ্য ৩৩২) ৭১.১ ওভারে ১৮১/১০