নাগরিক সংলাপ
নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, বঞ্চনা নতুন বিষয় নয়। করোনা মহামারীতেও নারীরা সহিংসতা থেকে রেহাই পায়নি। এখন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নারীরা সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছেন। তৃণমূলে সমাজ পরিবর্তনে সামাজিক উদ্যোগগুলি পৃষ্টপোষকতার অভাবে ধুকে ধুকে মরছে। সে কারণে তৃণমূলে নারীরা নির্যাতিত হলে, ধর্ষণের শিকার হলে বা অন্যকোন সামাজিক অনাচারের শিকার হলে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ সেভাবে দেখা যাচ্ছে না। এ অবস্থা থেকে পরিত্রান পেতে তৃণমূলে সামাজিক উদ্যোগগুলিকে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করতে হবে। একই সাথে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতাসহ যে কোন সামাজিক অনাচার মোকাবেলায় সংগঠিত প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সংঘবদ্ধ হতে হবে। গতকাল নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় আইএসডিই বাংলাদেশ মিলনায়তনে চিটাগাং সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট ফোরাম ও আইএসডিই বাংলাাদেশের উদ্যোগে ‘নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সমন্বিত পরিকল্পনা ও উদ্যোগ’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপে বিভিন্ন বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
সাংবাদিক ও জেলা সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদের সভাপতি এম নাসিরুল হকের সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক ছিলেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন।
সিএসডিএফ’র প্রকল্প সমন্বয়কারী শম্পা কে নাহারের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন আবদুল মান্নান, নারীনেত্রী নবুয়াত আর সিদ্দিকী, ফারহানা জসিম, নাসিমা আলম, অধ্যাপক এবিএম হুমায়ুন কবির, উত্তর জেলা কৃষক লীগের দপ্তর সম্পাদক সেলিম সাজ্জাদ, মো. সেলিম জাহাঙ্গীর, মো.জানে আলম, ইসমাইল ফারুকী, আবু ইউনুচ, অধ্যক্ষ মনিরুজ্জমান, চৌধুরী জসিমুল হক, আয়েশা বেগম মাধবী প্রমুখ।
সংলাপে বক্তারা নারীর মানবাধিকার সুরক্ষায় সরকারি নানা উদ্যোগগুলির কার্যকর সুফল নিশ্চিতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সক্রিয় অংশগ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা বলেন, ‘অপরাধী ও সন্ত্রাসীরা সংঘবদ্ধ হলেও সমাজের ভালো মানুষগুলি সংঘবদ্ধ নয়। আর অপরাধীরা পৃষ্টপোষকতা পেয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠে। তাই তৃণমূলে সকল স্তরের মানুষের ঐক্য ও নেটওয়াকিং ছাড়া সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগগুলির সফল কার্যকারিতা নিশ্চিত সম্ভব নয়। বিজ্ঞপ্তি