একবিংশ শতাব্দীতে জ্ঞানে-বিজ্ঞানে বিশ্ব অনেক এগিয়ে গেলেও সমাজ বা রাষ্ট্রে নারীর পূর্ণ নিরাপত্তা, মর্যাদা ও অবস্থান সুসংহত করতে পারিনি। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকে পিছিয়ে পড়া দেশে এই চিত্র আরও প্রকট।
পরিবার, কর্মক্ষেত্র, যানবাহন বা পথেঘাটে নারীদের প্রতি বৈষম্য, হয়রানি এবং নির্যাতন বন্ধ হয়নি। নারীর প্রতি রূঢ় আচরণ আমরা খুব স্বাভাবিক ঘটনা বলে ধরে নিই। পারিবারিক নির্যাতন তো একটি নৈমিত্তিক ঘটনার মতো। এই নির্যাতন শুধু শারীরিক নয়। তার চেয়ে ভয়াবহ হলো মানসিক নির্যাতন। সেটি পিতা-মাতা, স্বামী-সন্তান যে কারো কাছ থেকে হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সহকর্মী এমনকি অধস্তনদের কাছেও প্রতিনিয়ত হেনস্তা বা পীড়নের শিকার হতে হয় নারীকে।
এক্ষেত্রে সংবাদপত্রের একটি ভূমিকা রাখা দরকার। যেখানেই নারীরা বৈষম্য বা হেনস্তার শিকার হবে তা প্রকাশ করে ক্ষতিগ্রস্ত নারীর বিচার পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে।
এক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ বা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হবে। কারণ একজন নারীকে পুরোপুরি মানুষের মর্যাদা দিতে সমাজ এখনও প্রস্তুত নয়। অনেকের ধারণা নারীর কাজ শুধু ঘরে। সন্তান লালন-পালন ও গৃহস্থালি কাজই তার জন্য যথার্থ। এই দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে সংবাদপত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটা করতে গেলেই সমাজের ভেতর থেকেই বাধা আসবে সন্দেহ নেই। এই বাধাকে মোকাবেলা করেই কাজটা করতে হবে।
এ অচলায়তন ভাঙতে নারীদেরকেই প্রথমে এগিয়ে আসতে হবে। আর তাদের এগিয়ে আসার প্রেরণা ও সাহস যোগাতে হবে সংবাদপত্রকে। সুপ্রভাত বাংলাদেশ তাই ‘নারীর প্রতি সহিংসতা’ শিরোনামে নিয়মিত সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচার করবে। পত্রিকার অনলাইন ভার্সানে একই শিরোনামে একটি ‘উইন্ডো খোলা হয়েছে। যেখানে নারীর প্রতি সহিংসতার সকল সংবাদ, তথ্য-উপাত্ত থাকবে।