সুপ্রভাত ডেস্ক »
টানা তৃতীয়বারের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) মেয়র নির্বাচিত হলেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। বেসরকারি ফলাফলে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৈমুর আলম খন্দকারের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি ভোট পেয়ে বিজয় নিশ্চিত করেছেন তিনি।
আজ রোববার উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। ইভিএম নিয়ে যান্ত্রিক ত্রুটি এবং কিছু ভোটারের প্রযুক্তিভীতির কারণে কিছুটা ভোগান্তি হলেও শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট গ্রহণ ও গণনা শেষ হয়েছে। এবারই প্রথম নাসিক নির্বাচনে শতভাগ ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই ফলাফল ঘোষণা শুরু করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন।
বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা) পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট। আর তাঁর নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির অব্যাহতিপ্রাপ্ত নেতা তৈমুর আলম খন্দকার (হাতি) পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ভোট পড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।
সকাল থেকেই ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রার্থীরা। কোথাও সহিংসতার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এদিন সকাল ৮টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩টি অঞ্চলের (শহর, বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জ) ১৯২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয় তা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে মোট ওয়ার্ড ২৭টি। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সদরে ১৮টি ও বন্দর উপজেলায় ৯টি। মোট ভোটার পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ ও পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১১। ৪ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন। ভোটকেন্দ্র ১৯২টি।
মেয়র পদে লড়ছেন ৭ প্রার্থী। সংরক্ষিত ৯টি নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৩৪ ও ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৪৮ জন।