সুপ্রভাত ডেস্ক »
শ্রদ্ধা ও ভালবাসার নানা আয়োজনে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে উদযাপিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২২ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বৃহস্পতিবার সকালে পুস্পস্তবক অর্পণ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) আয়োজিত শিশু কিশোর সমাবেশে ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেয়র। এ সময় তিনি শিশু কিশোরদের নিয়ে কেক কাটেন।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নেওয়া হয় দিনব্যাপী কর্মসূচি। সকালে চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন, পুলিশের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন সামজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। এরপর কেক কেটে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস উদযাপন করা হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যার কারণে আমরা স্বদেশ পেয়েছি, স্বাধীনতা পেয়েছি, এই মানচিত্র পেয়েছি। স্বাধীন দেশ পেয়েছি বলেই আজকের যে বাংলাদেশ দেখতে পাচ্ছি, তা একটি মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশকে এই অবস্থায় নিয়ে এসেছেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশর উন্নয়নের রূপকার।
বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি এসেছিলেন বলে দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ। তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে অর্থনৈতিক মুক্তির অর্জনে অনেক দূর এগিয়েছে বাংলাদেশ।
এছাড়াও শিল্পকলা একাডেমিতে দিনব্যাপী আয়োজনের মধ্যে ছিলো আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এ দিকে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্বিবদ্যালয়ে (সিভাসু) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উদযাপন করা হয়েছে। উপাচার্যের নেতৃত্বে বের করা হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।
শোভাযাত্রা শেষে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর উপাচার্য শিশু-কিশোর, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে নিয়ে কেক কাটেন। এরপর অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ বিষয়ক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। এতে সিভাসু পরিবারের শিশু-কিশোররা অংশগ্রহণ করে।
দিনটি ঘিরে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ও নানা আয়োজন করা দিবসটি উপলক্ষে। চুয়েট প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও আদর্শের উপর এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু কৈশোর থেকেই অধিকার সচেতন মানুষ ছিলেন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে উনি সমগ্র বিশ্বের শোষিত ও মেহনতি মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু সর্বপ্রথম জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় দূরদর্শিতা ছিল সমসাময়িক বিভিন্ন রাষ্ট্রের নেতাদের চেয়েও অনেক এগিয়ে।