সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
পরপর দুইদিন খেলার পর রোববার ছিল বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের বিরতি। কিন্তু এদিন বিরতি তথা বিশ্রাম আর হলো না। দুইদিন মাঠের খেলার পর গতকাল বিরতির দিনে হলো মাঠের বাইরের নানা খেলা, যাকে নাটক বললেও কম হবে না। যেখানে মূল চরিত্রে স্বাগতিক দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ‘সাবেক’ অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। শুধু মিরাজ নন, এই নাটকের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আছেন চট্টগ্রামের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) সৈয়দ ইয়াসির আলমও। তবে সব নাটকীয়তার সমাপ্তি এখনও ঘটেনি। বরং ইয়াসিরের ওপর মিরাজের অভিযোগের তীরে নতুন ডালপালা গজিয়েছে এই নাটকীয়তার। তবে চট্টগ্রামের ভক্ত-সমর্থকদের জন্য সুখবর হলো, মাঠের বাইরে যত কিছুই হোক না কেন আর যত কথাই শোনা যাক না কেন, শেষ পর্যন্ত দল ছেড়ে যাননি তারকা অলরাউন্ডার মেহেদি মিরাজ। সিওও ইয়াসির আলিকে সরিয়ে দেওয়ার শর্ত দিয়ে দলের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। আবার চট্টগ্রামে থেকে গেলেও, ইয়াসিরকে বাদ না দেওয়া হলে খেলবেন না বলে জানিয়েছেন মিরাজ।
ঘটনার সূত্রপাত মূলত শনিবার সিলেট সানরাইজার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মধ্যকার ম্যাচের টসের সময় থেকে। আগের চার ম্যাচে চট্টগ্রামের অধিনায়কত্ব ছিল মিরাজের কাঁধে। কিন্তু সিলেটের বিপক্ষে টসের সময় দেখা যায়, চট্টগ্রামের পক্ষে এসেছেন নাইম ইসলাম। খানিক পর আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে মিরাজের বদলে নাইমকে অধিনায়কত্ব দেওয়ার ঘোষণা দেয় চট্টগ্রাম ফ্র্যাঞ্চাইজি।
এই সিদ্ধান্তের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেন মিরাজ। জানান তার সঙ্গে কথাবার্তা না বলে, দল ভালো করা অবস্থায় অধিনায়কত্ব বদলের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছেন না। তাই দলের সঙ্গেই না থাকার সিদ্ধান্ত নেন এবং গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টার ফ্লাইটে ঢাকা ফিরে যাওয়ার মনস্থির করেন। সেই অনুযায়ী বিকেলে টিম হোটেল ছেড়ে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে বের হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর ধরেননি ঢাকার ফ্লাইট, টিম হোটেলের বাইরে অপেক্ষমাণ সংবাদকর্মীদের সঙ্গে নিজের ক্ষোভ ও অভিযোগের কথা জানিয়ে ঢুকে যান ভেতরে। পরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের এক লোক এসে বিমান ধরার জন্য আগেই হোটেলের সামনে গাড়িতে বসে থাকা স্ত্রী-সন্তানকেও ভেতরে নিয়ে যান। এর খানিক পর মিরাজের অভিযুক্ত ইয়াসির আলমকেও হোটেলে ঢুকতে দেখা যায়। তবে ইয়াসির আলম সংবাদমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এরপর এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি বা মন্তব্যের জন্য চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।