নিজস্ব প্রতিনিধি, সাতকানিয়া »
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) সংসদীয় আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমানের মনোনয়নপত্রে সমর্থনকারী সৈয়দুল আলমকে তুলে নিয়ে আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত রোববার (৩ ডিসেম্বর) রাতে হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে ক্ষুধে বার্তা প্রেরণ ও সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ সংসদীয় আসনের রিটার্নিং অফিসার ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের নিকট নৌকার প্রার্থী আবু রেজা নদভীর বিরুদ্ধে ডা. মিনহাজ এ অভিযোগ দেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত রোববার মধ্যরাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মিনহাজের মনোনয়নপত্রে সংযুক্তি হিসেবে দাখিলকৃত এক শতাংশ সমর্থনকারী ভোটার তালিকার মধ্যে লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা এলাকার সৈয়দুল আলম নামে এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে প্রতিপক্ষ নদভীর চান্দগাঁও রূপালী আবাসিকের তৃতীয় তলার অফিস কক্ষের পাশের কম্পিউটার রুমে আটকে রাখেন। সৈয়দুল সমর্থনকারী হিসেবে ভোটার তালিকায় তার ক্রমিক নম্বর ৩১০ এবং তিনি ডা. মিনহাজের ১০ জন সমর্থকদের একজন।
অভিযোগ থেকে আরো জানা যায়, সোমবার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট হাজির করে স্বাক্ষর দেয়নি মর্মে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য চাপ দিতে বাধ্য করার চেষ্টা করেন নদভী। অথচ সৈয়দুল লোহাগাড়া উপজেলায় শনিবার (২ ডিসেম্বর) সশরীরে উপস্থিত থেকে ডা. মিনহাজের সমর্থনে স্বাক্ষর করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে ডা. মিনহাজ বলেন, আমার প্রতিপক্ষ নদভী এ ঘটনা নয়, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকে আমার সমর্থকদের উপর বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য ও সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধা সৃষ্টি করছেন। আমি বিষয়টির প্রতিকার চাই। সৈয়দুল উদ্ধার হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে ডা. মিনহাজ বলেন, সে কোথায় আছে এখনও আমি জানি না। আমি আশঙ্কা করছি তাকে গুম করা হতে পারে।
অভিযোগ অস্বীকার করে আবু রেজা নদভী সাংবাদিকদের বলেন, এ ধরনের বিষয় আমার জানা নাই। নৌকার প্রার্থী হওয়ায় প্রতিপক্ষ প্রার্থীরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।