সুপ্রভাত ডেস্ক »
কালুরঘাট সেতু নির্মাণে কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের ঋণচুক্তি হতে যাচ্ছে আগামী জুনে। চুক্তি সম্পাদন হলে সেতু নির্মাণের আনুসাঙ্গিক কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী।
গতকাল শনিবার দুপুরে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সম্প্রতি আমরা দাতা সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছি।
সেতু নির্মাণের জন্য প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা লাগবে। এর মধ্যে জিওবি ফান্ড ৪ হাজার কোটি টাকা এবং বাকি টাকা দেবে দাতা সংস্থা। এ নিয়ে কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংকও কথা দিয়েছে। তারা আগামী জুনে সরকারের সঙ্গে ঋণচুক্তি করতে চায়।
সরদার সাহাদাত আলী বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালুর দাবি বিবেচনায় নিয়েই টাইম-টেবিলে দুটি ট্রেন রাখা হয়েছে। কিন্তু আমাদের নিজস্ব কিছু হিসাব-নিকাশ আছে। দৈনিক কত যাত্রী যায়, আমরা কয়টা ট্রেন চালাতে পারি- এসব। আমরা জানি এই রুটে ট্রেন চালু হলে মানুষের কষ্ট কম হবে। রেলওয়ের রাজস্ব আয়ও বাড়বে। সমস্যা হচ্ছে জনবল ও ইঞ্জিন সংকট।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে আমরা ট্রেন চালাতে পারবো। কিন্তু সে ক্ষেত্রে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের কনটেইনারবাহী একটি ট্রেন কম চালাতে হবে। কারণ হচ্ছে- আমার ইঞ্জিন আছে, বগি আছে, কিন্তু ড্রাইভার নেই। আমরা নিয়োগ দিচ্ছি- কিন্তু অনেকে চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে প্যানেল সিস্টেম চালু করা হচ্ছে। চুক্তিতেও পুরোনো লোকদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। খবর বাংলানিউজ।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নিয়মিত ট্রেন চালুর বিষয়টি রেলওয়ের এক নম্বর প্রায়োরিটিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির নতুন মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী। তিনি বলেছেন, আমরা নীতিগতভাবে একমত; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন দিতে হবে। এটা এক নম্বর প্রায়োরিটি। এই রুটে ট্রেন চালুর ডিমান্ডে আমাদের কোনো না নেই।