নতুন কমিটির প্রথম সভায় ‘চমক’

রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ

অব্যাহতি প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি

নতুন কমিটির প্রথম সভাতেই সবাইকে চমকে দিয়ে ‘ইতোপূর্বে দল থেকে অব্যাহতি পাওয়া সকল নেতাকর্মীদের অব্যাহতির আদেশ প্রত্যাহার করে নেয়া’র ঘোষণা দিলেন রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। তবে অব্যাহতি প্রত্যাহার করা হলেও স্বপদে ফেরার সুযোগ পাবেন না তারা, থাকতে হলে দলীয় কর্মী হিসেবেই থাকতে হবে এমন শর্তও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
একইসাথে যারা জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন এমন কেউ যদি উপজেলা আওয়ামী লীগ কিংবা অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বে থাকেন, তাদের রোববারের মধ্যে পদত্যাগপত্র দলীয় কার্যালয়ে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
গতকাল রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে শহরের দলীয় কার্যালয়ে। এতে সভাপতিত্ব করেন দীপংকর তালুকদার এমপি।
উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. মুছা মাতব্বরসহ জেলা কমিটির নেতারা। এ সময় দীপংকর সকলের নাম ঘোষণার মাধ্যমে পরিচয় করিয়ে দেন।
পরিচয়পর্ব শেষে তিনি বলেন, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে যারা নির্বাচন করেছেন, তাদের দল থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। সেই সকল দলীয় নেতাকর্মীদের অব্যাহতি প্রত্যাহার করা হয়। তবে তারা দলীয় আগের পদে থাকবেন না, শুধু দলীয় কর্মী হিসেবে থাকবেন।
পরিচিত পর্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা।
এ সময় তিনি বলেন, নতুন কমিটির এই পরিচিতি সভার মধ্য দিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ আরও গতিশীল হবে। পূর্বে যদি কোন ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকলেও আজ থেকে তার অবসান হলো।
রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর জানিয়েছেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা করার কারণে অব্যাহতি পাওয়া ২৫/৩০ জন নেতার অব্যাহতি প্রত্যাহার করা হলো এবং নতুন কমিটিতে যারা সম্পাদকমণ্ডলী ও সহ-সভাপতি পদে ঠাঁই পেয়েছেন এমন নেতাদের মধ্যে যারা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন, তাদের স্ব স্ব পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে।’

জেলা আওয়ামী লীগের এই ঘোষণার ফলে বাঘাইছড়ি উপজেলা সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা এবং কাউখালী উপজেলা সভাপতি ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো. শাওয়ালউদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে নিজ নিজ ইউনিট থেকে পদত্যাগ করতে হবে।