শহর বা নাগরিক জীবন এত দ্রুত বদলে যাচ্ছে, চাহিদার সঙ্গে এক অসম প্রতিযোগিতায় কোন বিষয়টি অগ্রাধিকার পাবে তা ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না মানুষ। ভোগবাদ বা কনজ্যুমারিজম বেশ দাপটে জায়গা করে বসেছে এই শহর বা নগর কেন্দ্রিক জীবনে। মনটাকে, ভাবনাটাকেও ঠিক রাখা যাচ্ছে না। তার একটা প্রচন্ড প্রভাব পড়েছে ঘরে বাইরে আর সংসারে। খুব বেশি বোধ করি দাম্পত্যে, যেখানে একটা সমতা মেনে চলা খুব জরুরি। একটু এদিক ওদিক হলেই ঝনঝন করে ভেঙে পড়ছে নির্দয়ভাবে।
ভালোবাসার বিকল্প ভালোবাসা। আর এটাকে বাঁচিয়ে রাখার দায় কোনো দাম্পত্য জীবনে দুজনেরই। সমসময়ের প্রভাব তো পড়বেই। থাকবে সংকট, অপরিপূর্ণতার কষ্ট, প্রত্যাশার সংগে প্রাপ্তির ঘাটতি, আকাংখার ভেঙে ভেঙে পড়ার টুকরো টুকরো স্মৃতি, ইচ্ছে অপূর্ণতার তীব্র দহন, সাধ্যাতীতের সঙ্গে সাধ্যের সীমা ও দ্বন্দ্ব প্রতিনিয়ত, এ সবই একটা দাম্পত্য জীবনে লেপটে লেপটে থাকবেই। এসবকে নিয়ে তো দাম্পত্য। কিন্তু পরষ্পরকে বোঝার, অনুভবের, সম্মান ও শ্রদ্ধার এবং একে অপরের বন্ধু হয়ে ওঠার একটা শক্ত ভিত্তি যদি শুধুমাত্র ভালোবাসাকে পুঁজি করে গড়ে তোলা যায় তাহলে দুঃখ ও সংকটমোচনের একটা পথ হয়তো বেরিয়ে আসতে পারে যেখানে ভাঙনকে রোধ করা সম্ভব। আর তখনই দাম্পত্য স্বস্তি ও প্রশান্তি নিয়ে খোলা হাওয়ার মত নির্ভার হয়ে ওঠে।
শান্তনু বিশ্বাস রচিত ও নির্দেশিত নির্ভার নাটকটি পুনঃনির্মাণ করেন শুভ্রা বিশ্বাস। এই নাটকে অভিনয় করেন সনজীব বড়ুয়া, শুভ্রা বিশ্বাস ও প্রবীর পাল। মঞ্চসজ্জা ও পোস্টর করেন শিল্পী পীযুষ দস্তিদার। আলো ও আবহ সঙ্গীত নিয়ন্ত্রণ করেন তরুণ বিশ্বাস ও মোহাম্মদ কাউসার। বিজ্ঞপ্তি