নগর-উপজেলায় হাসপাতাল প্রস্তত রাখার নির্দেশ

দেশে মেলেনি করোনার নতুন উপধরন

নিজস্ব প্রতিবেদক »

চীন এবং ভারতে ধরা পড়েছে ওমিক্রনের নতুন ধরন ‘বিএফ.৭’। এটি ওমিক্রনের চেয়ে চারগুণ বেশি সংক্রামক। ইতোমধ্যে দেশের সব বিমান, স্থল ও সমুদ্র বন্দরে স্ক্রিনিং বাড়ানোর নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। চট্টগ্রামে আগেও যেসব হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা করা হতো সেসব হাসপাতাল প্রস্তত রাখার নির্দেশ প্রদান করেছে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়।

মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম জেলার স্বাস্থ্য বিভাগীয় মাসিক সমন্বয় সভায় আমরা উপজেলা হাসপাতালে নির্দেশনা প্রদান করি। প্রাণঘাতী করেনাভাইরাস প্রতিরোধে আগে যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে সেগুলো যাতে প্রস্তুত রাখে, যেমন হাসপাতালের বেড রেডি রাখা, স্বাস্থ্যবিধি মানা, অক্সিজেনের লাইন ঠিক রাখাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বলেন, নগরে আমরা সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছি। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় যেসব হাসপাতাল আছে; বিশেষ করে বেসরকারি হাসপাতালে যেখানে আইসিইউ’র ব্যবস্থা রয়েছে , সেখানে মৌখিকভাবে সব প্রস্তত করে রাখার কথা জানিয়ে দিয়েছি। আশা করি আগের মতো নাজুক অবস্থা হবে না। তারপরও নিজ নিজ জায়গা থেকে সর্তক থাকা ভালো।

বন্দরে স্ক্রিনিং বাড়ানোর প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, আমাদের বন্দরে স্ক্রিনিং করোনায় সময় থেকে চালু রয়েছে। আমাদের ৬০ শয্যার একটি ইউনিট প্রস্তত, চিকিৎসক, পর্যাপ্ত অক্সিজেন মজুদ রয়েছে।

মাঝখানে করোনার সংক্রমণ কমে যাওয়ায় তৎপরতা কম ছিলো। এখন করোনার উপধরন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা আরও সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। বিদেশ থেকে যারা আসবেন তাদের কঠোর স্ক্রিনিং জোরদার করা হবে। সন্দেহভাজন হলেই আইসোলেশনে রাখা হবে।

এ দিকে, বাংলাদেশে এখনো করোনাভাইরাসের নতুন উপধরনের (বিএফ.৭) উপস্থিতি পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। মঙ্গলবার সকালে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ড. তাহমিনা শিরিন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।