নগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের নতুন তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর

সম্মেলন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা অবশ্যই পালন করতে হবে: স্বপন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি বক্তব্য রাখেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক »

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে দফায় দফায় সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হলেও সেটা হয়নি। কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালে  ১ অক্টোবর, ৪ ডিসেম্বর ও পরবর্তীতে ১৮ ডিসেম্বর এবং সর্বশেষ গত বছরের ৩১ জুলাই চার দফায় নগর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হলেও শেষ পর্যন্ত হয়নি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে নগরীর দারুল ফজল মার্কেটের দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেন স্বপন।

সভানেত্রীর নির্দেশের কথা উল্লেখ করে সভায় আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন জানান, কেন্দ্রীয়ভাবে সর্বসম্মতিক্রমে ১৮ সেপ্টেম্বর নগর কমিটির সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। যেসব ইউনিট-ওয়ার্ডে এখনও সম্মেলন সম্পন্ন হয়নি, সেগুলো ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। শোকের মাস আগস্টকে বাদ রেখে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সকল থানা সম্মেলন শেষ করতে হবে।’

সভায় আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘ইউনিট ও ওয়ার্ডের সম্মেলন করার জন্য নগর কমিটির নেতাদের সমন্বয়ে থানাভিত্তিক ১৫টি সাংগঠনিক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তারা যদি ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে সম্মেলন করতে অপারগ ও ব্যর্থ হন, তাহলে কমিটিগুলো বাতিল হিসেবে গণ্য হবে।’

নগর কমিটির নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশে তৃণমূল স্তরের নেতৃত্ব ঢেলে সাজানোর কাজ চলছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনেো নেতা যদি ব্যর্থ হন, তার যোগ্যতা ও দক্ষতা অবশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

‘নেতৃত্ব যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যোগ্যতা, দক্ষতা, ত্যাগ-তিতিক্ষা ও দলীয় আদর্শের প্রতি আনুগত্য এবং এর পাশাপাশি সমাজে গ্রহণযোগ্যতার বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। মনে রাখতে হবে, নেতৃত্ব ও পদ-পদবিতে অবাঞ্চিত ও জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ কোনো ব্যক্তি যাতে আসীন হতে না পারে। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের ব্যত্যয় ঘটলে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের দায় নিতে হবে।’

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন মহানগর আওয়ামী লীগ ও এর আওতাধীন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে যে নির্ধারিত তারিখ ও সময়সূচি করে দিয়েছেন তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ। তিনি বলেন, নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী মহানগর আওয়ামী লীগসহ থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট স্তরে সম্মেলন অনুষ্ঠানের জন্য দলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীরা মুখিয়ে আছেন। এ সকল সম্মেলনের মাধ্যমেই দক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য সকলস্তরের নেতাকর্মীকে আন্তরিকভাবে কাজ করে যেতে হবে। এই কার্য-পরিধি পরিচালনার ক্ষেত্রে অবশ্যই শতভাগ সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে এবং কোন ধরনের দলীয় আদর্শ ও নীতি-নৈতিকতা বিরোধী আচরণকে কিছুতেই প্রশ্রয় দেয়া হবে না।

কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, উপদেষ্টা এ.কে.এম বেলায়েত হোসেন, সফর আলী, শেখ মাহমুদ ইসহাক, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম এম.পি, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, সম্পাদন মন্ডলীর সদস্য হাসান মাহমুদ সমশের, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, জুবাইরা নার্গিস খান, দিদারুল আলম চৌধুরী, মাহাবুবুল হক মিয়া প্রমুখ।