মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, এবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সবচেয়ে বেশি গুরম্নত্ব দিচ্ছে নগরীতে কোরবানির পশুর হাটগুলো সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা দূর করা। পশুর হাটগুলোতে লোকসমাগম নিয়ন্ত্রণসহ শুধুমাত্র নির্দিষ্ট স্থানে পশু বাঁধার খুঁটি, ছাউনি, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও জীবাণুনাশক সামগ্রী বিক্রির জন্য নির্দিষ্ট দোকান, আইনশৃংখলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের ক্যাম্প ছাড়া আর কোন ধরনের দোকানপাট থাকবে না। এছাড়াও কোন বয়স্ক ব্যক্তি এবং অপ্রাপ্তবয়স্করা পশুর হাটে আসতে পারবেন না। পশু ক্রেতার সাথে দুজনের বেশি যাওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, পশুর হাটগুলোতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে যা যা করণীয় সেগুলো যথাযথভাবে পালন করবে।
সোমবার সকালে টাইগারপাস চসিক নগর ভবনের সম্মেলন কড়্গে পশুরহাট ইজারাদারদের সাথে বৈঠকে সিটি মেয়র এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো জানান যে, পশুর হাটে জীবাণুনাশক এবং হ্যান্ডস্যানিটাইজারের সার্বক্ষণিক ব্যবস্থা থাকবে। এর বাইরে হাট ইজারাদারগণ বিক্রেতাদেরকে ক্রেতাদের হাত ধোঁয়ার পানি, সাবান ও টিস্যু পেপার সরবরাহ, ও শরীরের তাপমাত্র মাপার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ক্রেতা বিক্রেতা প্রত্যেককেই অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। চসিকের পক্ষ থেকে পশুর রোগ-বালাই চিহ্নিত করার জন্য হাটগুলোতে চিকিৎসক থাকবেন এবং পশুর গোসল ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় পানির ব্যবস্থা, খাবার ও আবর্জনার জন্য নির্ধারিত স্থান থাকবে।
এ সময় কাউন্সিলর এ এফ এম কবির মানিক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দোহা, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, এস্টেট অফিসার এখলাস উদ্দিন আহমদ, ইজারাদারের পড়্গে ছিলেন, মোহাম্মদ সাইফুল হুদা জাহাঙ্গীর, মোহাম্মদ মামুন, মোহাম্মদ ওয়াহিদুল আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ আজাদ, নজরম্নল ইসলাম মিন্টু, মোহাম্মদ জামসেদ, মোহাম্মদ ফারম্নক বাবুর্চি, আবদুর রশিদ লোকমান প্রমুখ উপসি’ত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি