নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে লাল জোনে রয়েছে ১২টি ওয়ার্ড। এছাড়া হলুদে ২৮টি এবং সবুজ জোনে রয়েছে একমাত্র বক্সিরহাট ওয়ার্ড। গত ১৪ দিনে আক্রানত্ম রোগীদের সংখ্যার ভিত্তিতে এই জোন নির্ধারণ করে স্বাস’্য অধিদপ্তর। প্রতি এক লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ৬০ বা এর বেশি লোক করোনায় আক্রানত্ম হলে লাল জোনে, ৩ থেকে ৫৯ জনের মধ্যে হলে সবুজ জোনে এবং তিন জনের কম আক্রানত্ম হলে সবুজ জোনের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। সরকার ঘোষিত আগের লাল জোনের ৯ ওয়ার্ডের সাথে এবার শুলকবহর, জালালাবাদ ও বাগমনিরাম ওয়ার্ড যুক্ত হয়েছে।
জোন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস’্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মোসত্মফা খালেদ আহমদ বলেন,‘ চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের ঘনত্বের উপর ভিত্তি করে সিভিল সার্জন দপ্তর এই জোন ভাগ করেছেন। গত ৩১ মে থেকে ১৩ জুন পর্যনত্ম আক্রানত্ম হওয়া সংখ্যার ভিত্তিতে এই জোন নির্ধারণ করা হয়।‘
এদিকে সিভিল সার্জন দপ্তর থেকে ভাগ করা লাল জোনের ১২টি ওয়ার্ড হলো- জালালাবাদ, শোলকবহর, উত্তর কাট্টলী, পাহাড়তলী, লালখানবাজার, বাগমিনরাম, চকবাজার, জামালখান, এনায়েতবাজার, উত্তর হালিশহর, দড়্গিণ মধ্যম হালিশহর ও দড়্গিণ পতেঙ্গা।
এছাড়া হলুদ জোনের ২৮টি ওয়ার্ড হলো- দড়্গিণ পাহাড়তলী, পাঁচলাইশ, চান্দগাঁও, মোহরা, পূর্ব ষোলশহর, পশ্চিম ষোলশহর, উত্তর পাহাড়তলী, দড়্গিণ কাট্টলী, সরাইপাড়া, পশ্চিম বাকলিয়া, পূর্ব বাকলিয়া, দড়্গিণ বাকলিয়া, দেওয়ানবাজার, উত্তর পাঠানটুলী, উত্তর আগ্রাবাদ, রামপুর, দড়্গিণ আগ্রাবাদ, ফিরিঙ্গিবাজার, পাথরঘাটা, গোসাইলডাঙ্গা, উত্তর মধ্যম হালিশহর, দড়্গিণ হালিশহর, উত্তর পতেঙ্গা, পাঠানটুলী, পশ্চিম মাদারবাড়ী, উত্তর মাদারবাড়ী, আলকরণ ও আন্দরকিলস্না ওয়ার্ড।
এদিকে সবচেয়ে সবুজ জোন বক্সির হাট ওয়ার্ড বিবেচনা প্রসঙ্গে স্বাস’্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, এই ওয়ার্ডটি মূলত: বাণিজ্যিক এলাকা (খাতুনগঞ্জ, চাক্তাই, টেরিবাজারসহ )। এখানে অনেক মানুষ কাজ করে কিন’ তাদের বাসা অন্যত্র। এতে করোনা আক্রানত্ম হলেও তা অন্য এলাকার হিসেবে যুক্ত হচ্ছে। আর তাতেই এটি সবুজ তালিকাভুক্ত হয়েছে।
এদিকে মন্ত্রণালয় ঘোষিত লাল তালিকাভুক্ত ওয়ার্ড আগে ছিল ১০টি। সেই ১০টি ওয়ার্ডের মধ্যে একটি ওয়ার্ডে ( ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী) মঙ্গলবার রাত থেকে লকডাউন শুরম্ন হয়েছে। লাল তালিকার বাকি ওয়ার্ডগুলোতে কবে নাগাদ লকডাউন শুরম্ন করা হবে সেবিষয়ে এখনো সিদ্ধানত্ম হয়নি।
উলেস্নখ্য, চট্টগ্রামে করোনা আক্রানত্ম রোগীর সংখ্যা ৫ হাজার ৪০৬ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১২১ জন।