নিজস্ব প্রতিবেদক »
নগরের হালিশহরের আগুন লেগে ১৯টি সিএনজি অটোরিকশা, ৫টি মোটরসাইকেল ও একটি অযান্ত্রিক রিকশাসহ পুরো গ্যারেজটি পুড়ে যায়। এ ঘটনায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি এবং গ্যারেজের দারোয়ান আহত হয়েছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে আগুন লেগেছে বলে ধারণা করা হলেও প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত চলমান রয়েছে বলে জানা যায়।
গতকাল সোমবার সকালে আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার খলিলুর রহমান এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘রোববার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত দুইটার দিকে হালিশহর ঈদগাঁ বউবাজার এলাকায় একটি অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট কাজ শুরু করে। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ৩টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিটের কারণে এ অগ্নিকা-ের সূত্রপাত ঘটেছে বলে আমরা ধারণা করছি। তবে প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে আমাদের তদন্ত চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্যারেজটিতে থাকা অটোরিকশায় গ্যাস ও মোটর সাইকেলে অকটেন থাকায় আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে তা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। গ্যারেজে থাকা দারোয়ান মো. আলী আহত হন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা আগুন নেভাতে চেষ্টা করেছিলো। তাদের সহায়তায় গ্যারেজ থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আগে উদ্ধার করা হলেও বাকি ১৯টি সিএনজি অটোরিকশা, ৫টি মোটরসাইকেল ও একটি রিকশা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আনুমানিক ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
গ্যারেজে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সিএনজি অটোরিকশার মালিক আনোয়ারুল করিম বলেন, ‘এখানে শুধু গাড়ি পুড়ে নাই। মানুষের উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে। ঋণের টাকা কিভাবে পরিশোধ করবো, তা বুঝে উঠতে পারছি না। এখানে গাড়িগুলোতে গাড়ির ডকুমেন্টসহ ড্রাইভারদের (চালক) লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পুড়ে গেছে। এরা এখন চাইলেও অন্য কোনো গাড়ি ভাড়া নিয়ে চালাতে পারবে না।’