নগরীতে মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী

শীতল আবহাওয়া আরো তিনদিন থাকতে পারে : আবহাওয়া অধিদপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক »

মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখীতে শীতলতা নেমে এসেছে নগরে। সকালের ঝড়ো হাওয়া, দিনভর মেঘলা আকাশ ও থেমে থেমে বর্ষণে গত কিছুদিন ধরে গরমের তীব্রতা শীতল হয়ে যায়। শুধু চট্টগ্রাম মহানগর নয়, বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হয়। এ মেঘলা আকাশ এবং ঝড়ো হাওয়ার বর্ষণ থাকতে পারো আরো তিনদিন। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে এমনই পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

গতকাল সকাল ৯টার পর থেকে হঠাৎ পুরো আকাশ কালো করে শুরু হয় তীব্র ঝড়। সেই সাথে সকালের উজ্জ্বল রোদ নিমিষেই হারিয়ে যায়। বিভিন্ন এলাকায় বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ সংযোগ লাইন। প্রবল বেগে শুরু হওয়া বৈশাখী ঝড়ের সাথে বৃষ্টি ঝরতে থাকে। প্রায় ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর বর্ষণ শেষ হলেও থেমে থেমে বৃষ্টি পড়তে থাকে দিনভর। একইসাথে দিনভর আকাশ মেঘলা থাকে এবং থেমে থেমে বৃষ্টির ফোঁটা পড়ে।
এদিকে বৃষ্টি নেমে যেতেই নগরীর সড়কগুলোতে ময়লার স্তূপ ভেসে উঠে। বৃষ্টির পরিমাণ কম হওয়ায় এসব আবর্জনা পানির স্রোতে ভেসে না গিয়ে বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়ে। এতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশে ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকতে যায়। অপরদিকে নগরীর নালা ও খালগুলো পুরোপুরি এখনো পরিষ্কার হয়নি। আবার কোথাও খালগুলো এখনো মাটিতে পরিপূর্ণ। তাই বৃষ্টির পানি নেমে যাওয়ার সুযোগ নেই। এখন বৃষ্টি হলেই নগরজুড়ে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি বাড়তে পারে।

বৃষ্টি কেমন হবে জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তর পতেঙ্গা কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘এখন কালবৈশাখী চলছে। এ আবহাওয়া আগামী তিনদিন থাকবে। এ সময় বজ্রসহ ঝড় ও বৃষ্টি হবে। মূলত ভোররাতে ও সন্ধ্যায় ঝড়-বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা।’
তিনি আরো বলেন, বিগত ২৪ ঘণ্টায় নগরীতে ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর বৈশাখে স্বাভাবিক নিয়মেই ঝড় বৃষ্টি হয়ে থাকে। এবার তুলনামূলকভাবে একটু দেরিতে প্রথম ঝড় পেলো নগরবাসী।