নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রথমবারের জোনিং ম্যাপ অনুযায়ী রেড জোন উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড লকডাউনের পর নতুন করে আর কোনো ওয়ার্ড সহসাই লকডাউন হচ্ছে না। কোরবানি ঈদের আগে লকডাউনের তেমন সম্ভাবনা নেই। তবে এবার পুরো ওয়ার্ড নয়, লকডাউন হবে এলাকাভিত্তিক। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলেই পরবর্তী লকডাউন, বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
৬ জুলাই লকডাউন মুক্ত ঘোষণা করা হয় উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডকে। ২১ দিনের লকডাউন বাস্তবায়নের পর লাল জোনে থাকা উত্তর কাট্টলী ইয়েলো জোনে আসে। এরপর পরবর্তী রেডজোনের লকডাউন নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
জানা গেছে, সিভিল সার্জন অফিস থেকে নতুন করে জোনিং ম্যাপ তৈরি করে সম্প্রতি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটির কাছে। তবে এখনও কোনো সিন্ধান্ত আসেনি। কেন্দ্রীয় কমিটির সুপারিশে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক রেডজোনভুক্ত ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে বাছাই করে এলাকাভিত্তিক পরবর্তী লকডাউন কার্যকর করা হবে। তবে পরবর্তী লকডাউন হতে পারে রেডজোন ক্যাটাগরিতে শীর্ষক্রমে থাকা চকবাজার ওয়ার্ড। এখানে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।
করোনা প্রতিরোধে চট্টগ্রাম শহর ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা সুপ্রভাতকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পরবর্তী লকডাউনের কোনো নির্দেশনা পাইনি। কারণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দ্বিতীয় দফায় রিভিউ করবে। পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা সেটি বাস্তবায়ন করব। তবে এবার পুরো ওয়ার্ড নয়, হবে এলাকাভিত্তিক লকডাউন।’
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন প্রণীত জোনিং ম্যাপ অনুযায়ী কোভিড-১৯ তালিকায় নগরীর ১৩ ওয়ার্ড রেডজোনে। ২৬টি ইয়েলো জোনে এবং ২টি গ্রিন জোনে রয়েছে।
সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে, রেডজোন ক্যাটাগরিতে শীর্ষক্রমে রয়েছে ১৬ নম্বর চকবাজর ওয়ার্ড, ২ নম্বর জালালাবাদ, ৪ নম্বর চান্দগাঁও, ৮ নম্বর শুলকবহর, ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ড, ১৪ নম্বর লালখান বাজার, ১৫ নম্বর বাগমনিরাম ওয়ার্ড, ২০ নম্বর দেওয়ানবাজার, ২১ নম্বর জামালখান, ২২ নম্বর এনায়েত বাজার, ২১ নম্বর আলকরন, ২৭ নম্বর দক্ষিণ আগ্রাবাদ।
পরবর্তী লকডাউন কবে এমন প্রশ্নের উত্তরে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী সুপ্রভাতকে বলেন, কোরবানির ঈদের আগে তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। ইতোমধ্যে নতুন জোনিং ম্যাপ তৈরি করে টেকনিক্যাল কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। হয়ত আসতে আসতে এটিতেও পরিবর্তন হতে পারে। আসলে পরবর্তী মেয়র মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে মেয়রের সিদ্ধান্ত সুপারিশ করে আবার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তারপর মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী লকডাউন কার্যকরে পরিকল্পনা করা হবে।’
পরবর্তী কোন ওয়ার্ড লকডাউন হতে পারে জানেত চাইলে তিনি বলেন ‘পরবর্তী লকডাউন হতে পারে চকবাজার । কারণ এখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। তবে এবার পুরো ওয়ার্ড না করে সংক্রমিত বেশি এমন এলাকাকে লকডাউন করা হবে। কারণ গতবারের অভিজ্ঞতা থেকে এবার আমরা সতর্ক। কাজেই আগেভাগে বিস্তারিত কিছু বলছি না।’
এদিকে চট্টগ্রাম জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১১,৫৯৭ জন। এর মধ্যে মহানগর এলাকায় ৮০৯৪ জন ও উপজেলা এলাকায় ৩৫০৩ জন। মারা গেছে ২১৬ জন। হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তির সংখ্যা ৮১৯ জন এবং হাসপাতাল বেডে আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তির সংখ্যা ২৭৮ জন। চট্টগ্রামের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছে ১২২ জন এবং সন্দেহভাজন রোগী ভর্তি আছে ২৯১ জন। ৩৩ জন আছে আইসিইউতে ।
এ মুহূর্তের সংবাদ