সুপ্রভাত স্পোর্টস ডেস্ক »
পাকিস্তানকে ২৭৪ রানে আটকানোর স্বস্তি তৃতীয় দিন সকালেই উবে যায়। দিনের শুরুটা কি বিবর্ণই না ছিল বাংলাদেশের। ১০ রান নিয়ে দিন শুরু করা বাংলাদেশ ২৬ রানে হারায় ৬ উইকেট।
২৬ রানে যখন শীর্ষ ৬ ব্যাটার সাজঘরে তখন ফলোঅনের শঙ্কায় ভুগছিল দলটি। ওপেনার জাকির (১) ও সাদমান (১০) ব্যর্থ হন। অধিনায়ক শান্ত (৪) রান পাননি এ ম্যাচেও। পরেই ফিরে যান মুমিনুল (১), মুশফিক (৩) ও সাকিব (২)।
ওই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে ১৬৫ রানের জুটি গড়েন লিটন দাস ও মেহেদী মিরাজ। আটে নামা মিরাজ সেঞ্চুরি মিস করলেও দারুণ এক সেঞ্চুরি করেন লিটন দাস।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের একমাত্র বোলার হিসেবে উইকেটশূন্য ছিলেন পেসার হাসান মাহমুদ। তবে ব্যাটিংয়ে একমাত্র অপরাজিত ব্যাটার ছিলেন তিনি। লিটন দাসকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে পাকিস্তানের লিড কমাতে রেখেছেন কার্যকরী ভূমিকা। আর টাইগারদের শেষ বেলাও রাঙিয়ে দেন তিনি। পাকিস্তানের দুটি উইকেট তুলে নিয়েছেন এই পেসার।
কিন্তু দ্বিতীয় দিন ২৬ রানে হারায় ৬ উইকেট। ওপেনার জাকির (১) ও সাদমান (১০) ব্যর্থ হন। অধিনায়ক শান্ত (৪) রান পাননি এ ম্যাচেও। পরেই ফিরে যান মুমিনুল (১), মুশফিক (৩) ও সাকিব (২)।
লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের দৃঢ়তায় বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৭৮.৪ ওভারে ২৬২ রান তুলে অলআউট হয়েছে। পাকিস্তানের চেয়ে ১২ রান পেছনে থেকে শেষ করেছে। লিটন দাস ১৩৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেরা ইনিংস খেলার পথে ২২৮ বল থেকে ১৩টি চার ও চারটি ছক্কা মেরেছেন তিনি।
২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর ধাক্কা কাটিয়ে মিরাজ-লিটনে ফলোঅন এড়িয়েছে বাংলাদেশ। সপ্তম উইকেটে দুজনে ১০০ রানের জুটি গড়ে ও ফিফটি তুলে নেন। টেস্ট ক্রিকেটের প্রায় দেড়শ বছরের ইতিহাসে ৫০ রানের আগে ৬ উইকেট হারানোর পর এটিই সপ্তম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ। টানা তিন ইনিংসে ফিফটি করা মিরাজ ১২৮ বলে ৭৮ রান করে আউট হন।
পরে হাসানকে নিয়ে নবম উইকেটে ৬৯ রানের জুটি গড়েন লিটন। তার ১৩ চার ও ৪ ছক্কায় ২২৮ বলের ইনিংসটি থামে ১৩৮ রানে। ৫১ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন হাসান।
পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট নেন খুররাম শাহজাদ। মির হামজা ও সালমান আলি আঘা ধরেন ২টি করে শিকার।
১২ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে দিনের শেষ ভাগে ৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। তাদের লিড এখন ২১ রানের।
বাংলাদেশের পক্ষে ২টি উইকেটই নেন হাসান। নিজের প্রথম ওভারে আব্দুল্লাহ শাফিককে ফেরানোর পর দ্বিতীয় ওভারে তিনি বোল্ড করেন ‘নাইটওয়াচম্যান’ হিসেবে নামা খুররাম শাহজাদকে।
রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথমদিন বৃষ্টিতে ভেসে যায়। দ্বিতীয় দিন ব্যাটিং করতে নামা পাকিস্তানকে ২৭৪ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। মেহেদী মিরাজ ৫ উইকেট তুলে নেন। জবাব দিতে নেমে ১০ রানে কোন উইকেট না হারিয়ে দিন শেষ করে বাংলাদেশ।
স্কোর:
পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে ৮৬.১ ওভারে ২৭৪/১০ (মীর হামজা ০*, আগা সালমান ৫৪, আবরার ৯, আলী ২, খুররাম শাহজাদ ১২, বাবর আজম ৩১, মোহাম্মদ রিজওয়ান ২৯, আব্দুল্লাহ ০, শান মাসুদ ৫৭, সাইম আইয়ুব ৫৮, সৌদ শাকিল ১৬)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৭৮.৪ ওভারে ২৬২/১০ (হাসান ১৩*; নাহিদ ০, লিটন ১৩৮, জাকির ১, সাদমান ১০, শান্ত ৪, মুমিনুল ১, মুশফিক ৩, সাকিব ২, মিরাজ ৭৮, তাসকিন ১)
পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ৩.৪ ওভারে ৯/২ (সাইম ৬*, খুররাম ০, শফিক ৩)
তৃতীয় দিন শেষে, ২১ রানে এগিয়ে পাকিস্তান।