সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
‘ধোনি ফিনিশেস অফ ইন স্টাইল।’ ২ এপ্রিল, ২০১১ ওয়াংখেড়েতে ধারাভাষ্যকারের সিটে বসে থাকা অধুনা ভারতীয় দলের কোচ রবি শাস্ত্রীর শেষ কয়েকটি শব্দ এখনও কানে বাজে স্তোত্রের মতো। ২৮ বছর বাদে সেদিন ক্রিকেটের জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন লাভ করেছিল ভারত। যার এক দশক বর্ষপূর্তি ছিল শুক্রবার। নুয়ান কুলাশেখারার হাফ ভলি বলটা লং-অনের উপর দিয়ে গ্যালারিতে আছড়ে ফেলে কয়েক সেকেন্ড একদৃষ্টে তাকিয়ে ছিলেন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। তারপর একটা স্টাম্প তুলে নিয়ে সাজঘরের দিকে দৌড় দিয়েছিলেন। আসমুদ্র-হিমাচল জুড়ে তখন উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে ধোনি-গম্ভীর-যুবি-শচীনদের ছবি নিয়ে।
কিন্তু সেদিন ওয়াংখেড়েতে মহেন্দ্র সিং ধোনির যে ব্যাটটা বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিল ভারতকে, সেই ব্যাট এখন কোথায়? প্রশ্ন জাগতেই পারে। উত্তরটা হবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। এক বিন্দুও মিথ্যে নেই এই কথাটার মধ্যে। এবার আসা যাক কীভাবে মাহির সেই ব্যাট গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তালিকাভুক্ত হল সেই কথায়। ভারতের বিশ্বজয়ের কয়েকমাস বাদে ধোনির বিশ্বজয়ের সেই ব্যাটটি বিকিয়েছিল রেকর্ড অর্থে।
বিশ্বজয়ের তিনমাস বাদে ২০১১, ১৮ জুলাই লন্ডনে ১ লক্ষ পাউন্ডে বিক্রি হয়েছিল ধোনির সেই ব্যাট। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ এক কোটি টাকার কাছাকাছি। লন্ডনে ধোনির ‘ইস্ট মিটস ওয়েস্ট’ চ্যারিটি ডিনারে ওই ব্যাটটি রেকর্ড অর্থে কিনে নিয়েছিল আর কে গ্লোবাল শেয়ারস অ্যান্ড সিকিউরিটিস লিমিটেড নামে একটি সংস্থা। আর এরপর থেকেই বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে দামী ক্রিকেট ব্যাট হিসেবে সেই ব্যাট স্থান করে নেয় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তালিকায়।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেও বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। উল্লেখ্য, সেবার বিশ্বকাপে ফাইনালের আগে অবধি নিষ্ক্রিয় ছিল ধোনির বাল্লা। কিন্তু ফাইনালে শ্রীলঙ্কার ছুঁড়ে দেওয়া ২৭৫ রানের লক্ষ্যামাত্রা তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে উপরে তুলে এনেছিলেন মাহি। গৌতম গম্ভীর এবং বিরাট কোহলির জুটি জয়ের যে মঞ্চ প্রস্তুত করে গিয়েছিল সেটাকে পূর্ণতা দিয়েছিল মাহি-যুবি জুটি। ৭৯ বলে ৯১ রানে অপরাজিত থেকে অধিনায়ক হিসেবে ইতিহাস গড়েছিলেন মাহি, ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছিল ভারতীয় দল।
খেলা