সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে শারীরিক ভাবে যতই ফিট দেখাক, তাকে ম্যাচ ফিট বলে মনে হচ্ছে না জাভেদ মিয়াঁদাদের। তার মতে, ম্যাচ ফিটনেসের অভাবের জন্যই রিফ্লেক্স ও টাইমিং আগের মতো নেই। যার প্রতিফলন ঘটছে ব্যাট হাতে পারফরম্যান্সে।
এ বারের আইপিএলে নয় ম্যাচে ধোনির ব্যাটে এসেছে ১৩৬ রান। গড় ২৭.২০। স্ট্রাইক রেট ১৩২.০৩। একটাও পঞ্চাশ আসেনি। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৪৭।
জাভেদ মিয়াঁদাদ এক সর্বভারতীয় দৈনিকে বলেছেন, ‘এ বারের আইপিএলে ধোনির ব্যাটিং দেখেছি। আমার মতে, ওর টাইমিং ও রিফ্লেক্সে সমস্যা হচ্ছে। যখনই কোনও ক্রিকেটার পুরোপুরি ম্যাচ ফিট থাকে না, তখনই টাইমিং ও রিফ্লেক্স মন্থর হয়ে পড়ে। ধোনির নিজেকে যাচাই করা উচিত। যতদিন খেলার মধ্যে থাকতে হয়, ততদিনই নিয়মিত মূল্যায়ন করতে হয় নিজেকে।’
গত বছর ইংল্যান্ডে একদিনের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের পর এক বছরেরও বেশি প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন ধোনি। মিয়াঁদাদ সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেছেন, ‘দীর্ঘ বিরতির পর আইপিএলে খেলতে এসেছে ধোনি। আইপিএলের আগে কোনও ম্যাচ খেলেনি। আর এটাই হল সমস্যা। ম্যাচ ফিট হওয়া খুব সহজ নয়। বিশেষ করে এত লম্বা সময় খেলার বাইরে থাকার পর।’
নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মিয়াঁদাদ বলেছেন, ‘আমি মস্তিষ্ক দিয়ে খেলতাম ক্রিকেট। তা করতে পারলে বয়স যাই হোক না কেন, খেলা যায়। হয়তো আগের মতো ক্রিকেটার আর থাকা সম্ভব নয়, তবু দলের পক্ষে কার্যকরী হয়ে ওঠা যায়। আমার পরামর্শ হল, ধোনি নেটে এক্সারসাইজ স্কিল ও ব্যাটিংয়ের সময় বাড়িয়ে দিক। যদি ২০টা সিট-আপ করে, তা হলে সেটা ৩০-এ নিয়ে যাক। যদি পাঁচটা স্প্রিন্ট করে, তবে সেটাকে বাড়িয়ে আটে নিয়ে যাক। নেটে যদি এক ঘন্টা ব্যাট করে তবে সেটাকে দু’ঘন্টায় বাড়িয়ে দিক। তবে একসঙ্গেই এটা করতে হবে, এমন নয়। সকাল, দুপুর, সন্ধেয় ভেঙে ভেঙেও এটা করতে পারে।’ খবর : ডেইলিবাংলাদেশ’র।
খেলা