ধসের শঙ্কায় স্থানীয়দের দেড়শতাধিক পরিবার পাহাড়ের পাদদেশে

জাহিদ হাসান হৃদয়, আনোয়ারা

আনোয়ারা উপজেলায় বিভিন্ন শিল্পকারখানার কারণে উচ্ছেদ হয়ে বৈরাগ ইউনিয়নের বদুলপুড়া গ্রামে এসে আশ্রয় নেয় প্রায় দেড়শতাধিক পরিবার। দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করে আসছে এসব পরিবার। ভারী বর্ষণের ফলে যেকোনো মুহূর্তে পাহাড় ধসের শঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এ অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলোকে শীঘ্রই অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন আশেপাশের বাসিন্দারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বদুলপুড়া গ্রামে পাহাড়ে বসবাসকারীদের যাতায়াতের রাস্তায় একপাশে পাহাড় ধসে পড়ে আছে। ওই পাহাড়িয়া এলাকায় প্রায় দেড় শতাধিক পরিবারের বসবাস রয়েছে। তারমধ্যে অনেকগুলো পরিবার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী একাধিক নারী-পুরুষের সাথে কথা হলে তারা জানান, থাকার মতো নিরাপদ জায়গা না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা পাহাড়ের নিচে বসবাস করছেন। আমরা সরকারকে প্রশাসনের মাধ্যমে পুনর্বাসনের আকুতি জানাচ্ছি।
সেলিনা বেগম নামের পাহাড়ে বসবাসকারী এক বাসিন্দা জানান, ঝুঁকিপূর্ণভাবে অনেকগুলো পরিবার এখানে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছি। গতকাল স্থানীয় মেম্বার এসে মার্কিং করে সতর্ক করে গেছে। এখন বিকল্প বাসস্থান না পেলে কোথায় যাবো আমরা।
হাসান নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, বৃষ্টি পড়লে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এসে পরিদর্শন করে যায়। এছাড়া আমাদের তো আর থাকার জায়গা নেই।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে এই পরিবারগুলো পাহাড়ের নিচে বসবাস করছে। বর্ষায় বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধসের খবর শুনা যায়। তাই প্রশাসনের উচিত সরেজমিন পরিদর্শন করে বিপদ আসার আগেই ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলোকে শীঘ্রই অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া উচিত।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মুহাম্মদ মোরশেদ জানান, বদুলপুড়া গ্রামে পাহাড়ের বসবাসকারীরা দীর্ঘ একযুগের বেশি সময় ধরে বসবাস করে যাচ্ছে। বৃষ্টির মধ্যে প্রতিদিন আমি একবার গিয়ে তাদের খোঁজখবর নিচ্ছি, তাদের মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে।
স্থানীয় ১নম্বর বৈরাগ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নোয়াব আলী বলেন, উচ্ছেদ হয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে এসব পরিবার ওই এলাকায় সরকারি খাস জমিতে বসবাস করে আসছে। ওখানে বসবাসকারীদের মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইশতিয়াক ইমন বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। এনিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে কথা হয়েছে এবং ওনাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিষয়টি দেখভাল করার। তাদের সতর্ক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার।