দ্রুত নির্বাচন দিয়ে লন্ডন বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করুন:মির্জা ফখরুল

যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার শেষ করে লন্ডন বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অবিলম্বে নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সংস্কারের চিন্তা, প্রস্তাব সবই বিএনপির। বিএনপি সংস্কার কে ভয় পায় না বরং স্বাগত জানায়।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মরহুম শফিউল বারী বাবুর ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে ১২টি মৌলিক পরিবর্তনে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। এজন্য আলী রীয়াজকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু এমন কোন সংস্কার প্রস্তাব আনবেন না যেগুলোর সঙ্গে দেশের মানুষ অভ্যস্ত না। কিছু দল বলছে সংখানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন করব না। যে সকল প্রস্তাব সমস্যার সৃষ্টি করে, জাতির জন্য উপযোগী নয় সেগুলো পরিহার করাই উত্তম।

বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, ৭৫ এ শেখ মুজিব বাকশাল কায়েম করেছিল। সকল গণতান্ত্রিক পথ রুদ্ধ করেছিল। পরবর্তীতে সকল বাধা অতিক্রম করে দেশে বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। জিয়ার হাত ধরেই দেশের মানুষ বাক স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছিল। রাজনৈতিক দলগুলো মুক্ত রাজনীতির চর্চা করার সুযোগ পেয়েছিল। গণমাধ্যমের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দেশের যত গণতান্ত্রিক বিজয় সব বিএনপির হাত ধরে এসেছে।

এ সময় শফিউল বারি বাবুকে স্মরণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাবু ছিলেন ফ্যাসিবাদী আন্দোলনের অগ্রপথিক, বীর সেনানী। বাবুর রাজনৈতিক যোগ্যতা সক্ষমতা ছিল অতুলনীয়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করতেন বাবু। তার স্ত্রী সন্তান পরিবারকে বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি।

তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছর বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী ত্যাগ স্বীকার করেছে। গুম খুন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। রিমান্ডে নিয়ে পায়ের নখ তুলে নিয়েছে কিন্তু কেউ আত্মসমর্পণ করেনি। এই সকল আত্মত্যাগ আমাদের চলার পথে শক্তি যোগায়।

এ সময় জিয়াউর রহমানের হাতেগড়া প্রতিষ্ঠান শিশু একাডেমী ভবন ভেঙে ফেলার বা সরিয়ে নেয়ার যে প্রক্রিয়া চলছে তা বন্ধের আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, শিশুদের মননশীলতা ও বিকাশের লক্ষ্যে জিয়াউর রহমান এই প্রতিষ্ঠানটি গড়েছিলেন। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানসিক সুস্থতার জন্য এই একাডেমির প্রতি কোন ধরনের বিরুপ হস্তক্ষেপ চায়না বিএনপি।