টিসিবির ট্রাকের পেছনে দীর্ঘ লাইন দেখেই ধারণা করা যায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সাধারণ ও স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনযাত্রায় কতটা প্রভাব ফেলেছে। বাজারে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, এমন কথাই বলা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, বাজারে সরকারের আদৌ কোনো নজরদারি আছে কি না। যথাযথভাবে বাজার মনিটর করা হচ্ছে কি না—এটাও একটা বড় প্রশ্ন। অস্থিতিশীল বাজার পরিস্থিতিতে অসহায় হয়ে পড়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই ভিড় বাড়ছে টিসিবির ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রে। একসময় সরকারি ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রে নিম্ন আয়ের মানুষের লাইন দেখা যেত। কিন্তু এখন মধ্যবিত্তদেরও লাইনে দেখা যাচ্ছে।
সকালের কর্মব্যস্ততা শুরু হতে না হতে রাস্তার ধারে ফুটপাতে মানুষ লাইন ধরে বসে আছে। নতুন যারা আসছেন, তারাও ধীরে-সুস্থে লাইনের পিছনে গিয়ে বসছেন। জিজ্ঞেস করলে জানান, তারা টিসিবির ট্রাকের জন্য অপেক্ষা করছেন। এভাবে ঘণ্টাখানেক অপেক্ষার পর আসে ট্রাক। বিক্রির প্রস্তুতি শুরু করতে না করতেই শুরু হয়ে যায় ভিড়। ট্রাক দেখে আরও অনেকে আসতে শুরু করে। এটিই এখন নগরের নিত্য চিত্র।
সুপ্রভাতের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, চট্টগ্রামে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৭২টি কার্ডধারী নিম্নআয়ের পরিবারের মাঝে প্রথম ধাপে চারটি পণ্য – চিনি, মসুরের ডাল, চিনি ও তেল ভর্তুকি মূল্যে টিসিরি মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে। চট্টগ্রামে অনেক মানুষের বসবাস। এত কম পরিমাণ কার্ডে কষ্টে থাকা বিশাল জনগোষ্ঠীর চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না। মানুষ খুঁজছে টিসিবির কার্ড। টিসিবি সূত্রে জানা গেছে আপাতত কার্ড বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। টিসিবি যদি সাময়িক সময়ের জন্য হলেও কার্ড না পাওয়া ব্যক্তিদের জন্য কোনো বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে নিম্নআয়ের মানুষ উপকৃত হবে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কিভাবে স্বস্তিদায়ক করা যায় সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে সরকারকে।
মতামত