সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
অভিজ্ঞতাকে হারিয়ে ইউএস ওপেনের মহিলা সিঙ্গলস ফাইনালে তারুণ্যের জয়গান। আর দ্বিতীয়বার সেই জয়গান লিখলেন ২২ বছর বয়সী জাপানের নাওমি ওসাকা। প্রথম সেট হেরে পিছিয়ে পড়েও শনিবাসরীয় আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করলেন টুর্নামেন্টের চতুর্থ বাছাই। তৃতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যামের খোঁজে কোর্টে অবতীর্ণ হওয়া বেলারুশিয়ান ‘সুপার মম’ ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কাকে ১-৬, ৬-৩, ৬-৩ সেটে পরাস্ত করে দ্বিতীয়বার ইউএস ওপেনে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করলেন জাপানি খেলোয়াড়।
যদিও মেগা ফাইনালে এদিন শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি ওসাকার। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে কাবু নাওমি বাঁ-পায়ে ক্রেপ বেঁধে এদিন নেমেছিলেন কোর্টে। শুরুর দিকে তার জড়তার সুযোগ পুরোপুরি আদায় করেন দু’বারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ী আজারেঙ্কা। প্রথম সেটে চতুর্থ বাছাই ওসাকাকে একটির বেশি গেম জিততে দেননি অবাছাই আজারেঙ্কা। ১৩টি আনফোর্সড এরর করা জাপানি প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে মাত্র ২৭ মিনিটেই প্রথম সেট ছিনিয়ে নেন বছর একত্রিশের আজারেঙ্কা।
প্রথম সেট জয়ের রেশ ধরে দ্বিতীয় সেটেও প্রথম দুটি গেম নিজের নামে করে নেন বেলারুশ কন্যা। কার্যত দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া নাওমির প্রত্যাবর্তন শুরু হয় এরপর। আজারেঙ্কার জোড়া সার্ভিস ব্রেক করে ৪-৩ লিড নেন ২০১৮ ইউএস ওপেন জয়ী। মোমেন্টাম ধরে রেখে এরপর দ্বিতীয় সেটে তৃতীয়বারের জন্য আজারেঙ্কার সার্ভিস ব্রেক করেন ওসাকা। প্রতিদ্বন্দ্বীকে আর কোনওরকম সুযোগ না দিয়ে মেগা ফাইনাল নির্ণায়ক সেটে নিয়ে যান তিনি।
নির্ণায়ক সেটের চতুর্থ গেমে পুনরায় আজারেঙ্কার সার্ভিস ব্রেক করে ৩-১ লিড নিয়ে নেন ওসাকা। এরপর প্রতিদ্বন্দ্বীর সার্ভিস ব্রেক করে ম্যাচে ফেরার সুযোগ ছিল আজারেঙ্কার কাছে। কিন্তু পঞ্চম গেমে ৪০-০ এগিয়ে থেকেও ওসাকার কাছে আত্মসমর্পণ করতে হয় বেলারুশিয়ানকে।
একইসঙ্গে ম্যাচ অনেকটাই ঢলে পড়ে ওসাকার দিকে। ১-৪ পিছিয়ে থেকে পরের গেমে চারটি ব্রেক পয়েন্ট সেভ করে ব্যবধান কমিয়ে আনেন আজারেঙ্কা। এমনকি সপ্তম গেমে ওসাকার সার্ভিস ব্রেক করে ম্যাচে উন্মাদনা ফিরিয়ে এনেছিলেন সেরেনাকে হারিয়ে ফাইনালে পা রাখা প্রাক্তন বিশ্বের এক নম্বর।
কিন্তু অপেক্ষা আর দীর্ঘায়িত করতে চাননি ওসাকা। অষ্টম গেমে আজারেঙ্কার সার্ভিস ব্রেক করে চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য সার্ভিসের সুযোগ পান তিনি। নিজের সার্ভিসের ফায়দা নিয়েই কেরিয়ারের তৃতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব নিশ্চিত করেন ওসাকা। খবর : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।
খেলা