বিনোদন ডেস্ক »
‘সন্তান থাকলে কোনো মেয়ের দ্বিতীয় বিয়ে করা উচিত নয়। তিনি এরকমটা কখনো করবেন না।’- এমন মন্তব্য করেছেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা অপু বিশ্বাস। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে এমন কথা বলেন তিনি। শাকিব খানের প্রাক্তন, না কি বর্তমান স্ত্রী- অপু বিশ্বাসকে ঘিরে এই আলোচনা এখন তুঙ্গে। নায়িকাও বিষয়টি খোলাশা করেন না। আবার ‘সম্প্রতি আপনি বুবলিকে নিয়ে একটি মন্তব্য করে জানান, আপনি তাকে ঘৃণা করেন। হঠাৎ এমন সরাসরি আক্রমণ করলেন?
এমন প্রশ্নের উত্তরে অপু বলেন, আমি আসলে এটা নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না। আমি একজন তারকা এবং পাবলিক ফিগার। একজন হিন্দু বাড়ির মেয়ে। আমার মা এখন আর নেই। তবে, কিছু জিনিস শিখিয়ে গিয়েছেন আমাকে। সেটা আমি মেনে চলি। কিছু সীমারেখা থাকে। সেটাকে অতিক্রম করা উচিত নয়। আর যে মানুষকে নিয়ে কথা উঠল, কলকাতায় আমার কাজের জায়গা, সেখানে বসে এসব নিয়ে মন্তব্য করলে অলক্ষ্মী হতে পারে। তাই কোনো মন্তব্য করব না।
শাকিবের সঙ্গে বৈরী সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে কি না? এমন প্রশ্নে অপু বলেন, আমি চাই না, আমার সন্তান কোনো ভাঙা পরিবারে বেড়ে উঠুক। আমি আমার সন্তানকে নিয়ে ভীষণ সচেতন। যে কোনো সন্তানের কাছে পরিবার খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাবা-মা হিসেবে সন্তানকে একটা সুনিশ্চিত জীবন দেওয়া আমাদের কর্তব্য।
তিনি বলেন, আমার মনে হয় পরিবারের অশান্তিগুলো আমাদের মধ্যেই থাকা উচিত। সন্তানকে যাতে কোনো অশান্তি ছুঁতে না পারে। এই জিনিসটা জয় কখনও বুঝতেই পারে না। কারণ আমি, আমার শ্বশুর-শাশুড়ি, শাকিব সকলেই ভীষণ সচেতন। আমার ছেলের কাছে বিষয়টা- আমার মা কাজ করে, আমার বাবা কাজ করে। ব্যস্ত বলে দূরত্ব রয়েছে। কিন্তু ‘ব্রোকেন’ শব্দটার সঙ্গে ও পরিচিত নয়।
মা হওয়ার পর শাকিবের সঙ্গে বিচ্ছেদ। কখনও দ্বিতীয় বিয়ের কথা ভেবেছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে অপু বলেন, না, কখনও ভাবিনি। দ্বিতীয় বিয়ের দরকারটা কী? বাংলাদেশে আমার এমন একটা জায়গা রয়েছে, যেখানে সকলে ভাবেন অপু যা-ই করবেন তার মধ্যে একটা বার্তা থাকবে। সেইদিক থেকে দর্শকের কাছে খুবই কৃতজ্ঞ।
যোগ করে অপু বলেন, একটা মেয়ে, যার সন্তান আছে সে কেন দ্বিতীয় বিয়ে করবে? দ্বিতীয় বিয়েতে সে হয়তো স্বামী পাবে, তার সামাজিক পরিচিতি পাবে। কিন্তু সন্তানটা? সে কি একজন সৎ বাবা পাবে! সন্তানের প্রতি ওই বাবা যে সমান ভালোবাসা দেবে, তা তো নয়। তাই আমি মনে করি, দ্বিতীয় বিয়েই করব না! তা হলে সন্তান তার নিজের বাবাকেই পাবে, অন্য কাউকে বাবা বলতে হবে না। তাই যেকোনো এক জনকে আত্মত্যাগ করতেই হয়, তাতে ভুল কিছু নেই। মা হিসেবে আত্মত্যাগ করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।