দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠিত হচ্ছে গণহত্যা ও গুমের বিচারে

সুপ্রভাত ডেস্ক »

জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে গণহত্যা, গুমসহ মানবতাবিরোধী নানা অপরাধের বিচারকাজ সুষ্ঠু ও দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হচ্ছে। পুরাতন হাইকোর্ট ভবনে অবস্থিত ট্রাইব্যুনালের পাশে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালের অবকাঠামোগত কাজ শুরু হয়েছে।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালের স্থান পরিদর্শনে যান প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদের নেতৃত্বে প্রসিকিউশনের একটি টিম।

এ সময় সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠিত হতে পারে। এর কাজের অগ্রগতি দেখতে এসেছি।’

তিনি বলেন, ‘সারাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে। এটার ব্যাপকতা বিস্তৃত। এজন্য একটা ট্রাইব্যুনাল যথেষ্ট নয়। সেজন্য প্রসিকিউশন, প্রশাসনিক দপ্তরের জন্য জায়গার প্রয়োজন আছে। সে হিসাবে আমরা সব কিছু প্রস্তুত করে রাখছি। ভবিষ্যতে যখন প্রয়োজন পড়বে, তখন এখানে চলে আসব।’

প্রসিকিউশন আরও জানায়, এ পর্যন্ত ৩০০টির বেশি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা পড়েছে। এর মধ্যে ১৬৮টি অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে তদন্ত সংস্থায় পাঠানো হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়লেও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এখন পর্যন্ত একটি মামলা হয়েছে।

তাকে গ্রেপ্তার করতে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি করার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) কাছে ১৩ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়। অন্য মামলায় ১৭ অক্টোবর সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। যার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ওই বছরের ২৫ মার্চ। ২০১২ সালের ২২ মার্চ আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়, যা ট্রাইব্যুনাল-২ নামে পরিচিতি পায়। এরপর ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুই ট্রাইব্যুনালকে একীভূত করে একটি ট্রাইব্যুনাল করা হয়।