সুপ্রভাত ডেস্ক »
যাত্রা শুরু করলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদপূর্তির পরদিনই দ্বাদশ সংসদ সংসদ শুরু হলো। বিদায়ী (একাদশ) সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হকের সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচন করা হয়। স্পিকার পদে শিরীন শারমিন চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এই প্রস্তাব সমর্থন করেন। আর কোনও প্রার্থী না থাকায় শিরীন শারমিন চৌধুরী সর্বসম্মতিক্রমে স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন বলে ঘোষণা দেন স্পিকারের আসনে থাকা শামসুল হক। খবর বাংলাট্রিবিউন।
এরপর অধিবেশন কিছু সময়ের জন্য বিরতি দেওয়া হয়। এ সময় সংসদ ভবনে স্পিকার হিসেবে শিরীন শারমিন চৌধুরীকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
এরপর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আবার অধিবেশন শুরু হয়। স্পিকারকে অভিনন্দন জানিয়ে সংসদে বক্তব্য দেন সরকারি দলের জ্যেষ্ঠ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, দীপু মনি এবং বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের।
পরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার পদে নির্বাচন হয়। শামসুল হক এবারও এই পদে নির্বাচিত হয়েছেন। সরকারি দলের সংষদ সদস্য এবি তাজুল ইসলাম ডেপুটি স্পিকার পদে শামসুল হকের নাম প্রস্তাব করেন। সরকারি দলের মকবুল হোসেন ওই প্রস্তাব সমর্থন করেন। অন্য কোনও মনোনীত প্রার্থী না থাকায় স্পিকার কণ্ঠভোটের মাধ্যমে ডেপুটি স্পিকারকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের জন্য ৫ সদস্যদের সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন করা হয়। তারা হলেন এবি তাজুল ইসলাম, শাহাবউদ্দিন, আ ফ ম রুহুল হক, হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ ও উম্মে কুলসুম। স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে নামের অগ্রবর্তিতা অনুসারে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা সংসদের বৈঠকের সভাপতিত্ব করবেন।
এরপর শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী শোক প্রস্তাবটি পেশ করেন। শোক প্রস্তাবে কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল আহমদ আল জাবের আল সাবাহ’র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়। এছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী জিনাতুন নেসা তালুকদার, সাবেক সংসদ সদস্য ড. মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীসহ বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়। খবর বাংলাট্রিবিউন।
পরে সংবিধানের বিধান অনুযায়ী সংসদে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তার ভাষণের পর সংসদের অধিবেশন আগামী রবিবার পর্যন্ত মূলবতী করা হয়। দেশের বিশিষ্টজন ও ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা সংসদে উপস্থিত হয়ে অধিবেশনের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।