নিজস্ব প্রতিবেদক »
সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে পাহাড়ের পরিবেশ ও প্রতিবেশ অক্ষুণ্ন রেখে আগামী এক থেকে দেড় মাসের মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হবে। কইসাথে এই এলাকায় নতুন করে কোনো পাহাড় কাটা যাবে না। ভূমিরুপের কোনো পরিবর্তনও করা যাবে না। গতকাল সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের উপস্থিতিতে সলিমপুর এলাকার মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এই আলোচনা হয়।
বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনসহ সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় বলা হয়, নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ জঙ্গল সলিমপুরকে কেন্দ্র করে একটি চিহ্নিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে বনভূমি ধ্বংস করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে সরকারি খাস জমি অর্থের বিনিময় দখল বিক্রি করে আসছে। যেখানে পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে প্রতিনিয়ত পাহাড় ধ্বসের আতঙ্ক নিয়ে বসবাস করে আসছে হাজারো পরিবার। এছাড়াও জঙ্গল সলিমপুর এখন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। সন্ত্রাসীরা অভিনব কায়দায় বনভূমি ধ্বংস ও খাস জমি বিক্রি করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এসময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস সলিমপুরে ভূমিদস্যু সৃষ্ট সকল প্রতিবন্ধকতা প্রতিহত করার জন্য প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।
মুক্ত আলোচনায়, সলিমপুরের মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে আলোচনা হয়। এ এলাকায় গড়ে তোলা প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে স্পোর্টস ভিলেজ, হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, সাফারি পার্ক, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার, উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বেতার সম্প্রচার কেন্দ্র, পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কাস্টমস ডাম্পিং হাউজ, সবুজ শিল্প এলাকা, চট্টগ্রাম সেনানিবাস ও বিএমএ এবং আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন।
সভাশেষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান বলেন, জঙ্গল সলিমপুরে যেন নতুন করে পাহাড় কাটা ও অবৈধ ভূমি দখল না হয় সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও জঙ্গল সলিমপুরে সরকারের গৃহীত মাস্টারপ্ল্যান আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন জঙ্গল সলিমপুর নিয়ে একটি ব্যাপক প্রকল্প নিচ্ছে। সেজন্য পুরো এলাকার একটি মাস্টারপ্ল্যান প্রয়োজন। সেই মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী এলাকার উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে।